
Corruption destroys everything !
আর ইউ কিডিং গাইজ ? ইজ ইট এ্যা হসপিটাল ? সিরিয়াসলি ?
২০০১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কিছুদিন থাকার সুযোগ হয়েছিল। তখন দেখেছিলাম নতুন আগতদের মিছিলে, মারারারিতে নিতে তথাকথিত ছাত্র নেতারা কি পরিমান জোর-জবরদিস্থি, হুমকি ধমকি দিতো।
‘চলছে লড়াই চলবে … অমুক তমুক লড়বে, চলছে লড়াই চলবে … তমুকে লড়বে, অমুক তমুকের কিছু হলে … জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ – এসব ফালতু, অন্তঃসারশূন্য কিছু গৎবাঁধা স্লোগানের সঙ্গে তখন প্রতিদিন পরিচয় হতো। পরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলে সেখানে এই দূর্ভাগ্যগুলো আর হয়নি কারন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের একমাত্র ছাত্ররাজনীতি মুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এই যে ছাত্ররা, অকর্মারা মিছিল মিটিং করে এদের কাছে রাজনীতি মানে হলো নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা বা কাউকে ঠ্যাং ধরে নামিয়ে নিজেদের পথ প্রশস্ত করা। এরা কোনদিন দেশের লুটপাট, অরাজকতা, দূর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ তো দূরে থাক, বরং সহযোগী হয়। এই যে হাসপাতালে একটি বাচ্চা, একজন লুটেরা বড় ভাইয়ের নিরাপত্তার চেয়ে এই শিশুটির সুন্দর ভবিষ্যৎ ও যথার্থ চিকিৎসা বেশী জরুরী। অন্তত সভ্য সমাজ হলে তাই করতো।
দশকের পর দশক ধরে লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু এদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, বাক-স্বাধীনতার মত মৌলিক অধিকারগুলো এখনো সহস্র বছর পিছিয়ে। জন্মের পর থেকেই শুনে আসছি শহরের এই জলাবদ্ধতার কথা। একদিন একটু ভারী বৃষ্টি হলেই কিমবা জোয়ারের পানি একটু বাড়লেই কম্ম সারা সকল উন্নয়নের।
গতকাল এক আলোচনায় কয়েকজন বন্ধু বলছিলেন ভিন্ন কিছু কথা যাদের সবাই দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী। যেমন –
… মোবাইল কোর্ট, ক্রসফায়ার আর গুম । এই তিনটাকে সর্বরোগের ওযুধ হিসেবে প্রয়োগ করা হচ্ছে এদেশে …
… ট্যাক্সের বোঝা বয়ে বেড়াতে পারছে তো সবাই। আশ্চর্য এক প্রজাতি এই দেশের জনগণ। এত উচ্চ পরোক্ষ ট্যাক্স উন্নত বিশ্বেও নেই …
কুশিক্ষা পেয়ে, বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেও আমাদের কাজ হলো গাঁধার খাটুনি খাটা আর সীমাহীন হয়রানি ও ঘুষ সহযোগে উচ্চহারে ট্যাক্স দিয়ে যাওয়া। তাহলে সমাধান কি ?
… বালের এতো গবেষণা করে লাভ আছে? মেনে নিতে হবে না হলে দেশ থেকে ফুটে যেতে হবে। দেশের তো আর চিনতে কিছু বাকি নেই …
আর ইউ কিডিং গাইজ ? ইজ ইট এ্যা হসপিটাল ? সিরিয়াসলি ? ১০০ টা পদ্মা ব্রীজের চেয়ে এই শিশুর জন্য একটি সুন্দর হাসপাতাল আগে দরকার।
Related Posts

কোরান কি আসলেই নির্ভুল? বৈজ্ঞানিকরা কি কোরান নিয়ে গবেষণা করেন?
পাকিস্তানের এক তথাকথিত স্কলার একবার জীন দিয়ে বিদ্যূৎ উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন নাকি! মোল্লা তারিকRead More

ইসলামের স্বার্থে মিথ্যা, প্রতারনা তথা তাকিয়াবাজি বৈধ !
গবাদিকূল পারেও। জান্নাত জুবাইর নামের এই মেয়ে নাকি বলিউডে অভিনয় করে, আমি জানিনা। ধূর্ত গবাদগুলোRead More

“লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন”- “যার যার ধর্ম তার তার কাছে”
“লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন”- “যার যার ধর্ম তার তার কাছে” তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।Read More
Comments are Closed