
Who is responsible for the Pandemic ?
মানুষ তার ভুলের কারনে ও অতিরিক্ত লোভের কারনে ডেকে আনছে সব মহামারি !
পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা, ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারে অপ্রয়োজনীয় পোশাক জরুরী কিছু নয়, মানুষের প্রকৃত প্রয়োজন খুব কম। বিকালে জাঙ্ক ফুড খাওয়াও খুব অপ্রয়োজনীয় এবং খুবই অস্বাস্থ্যকর। মানুষ শুধু যে বিলাসিতার জন্য খরচ করে তা নয়, মানুষ বেশী খরচ করে প্রতিযোগীতার জন্য। একজনের আছে, আমার নেই বা আমার কত আছে এটা দেখানো – এই প্রতিযোগীতা করে মানুষ পৃথিবীকে ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য বানিয়ে ছাড়ছে। একবার সহজ মাথায় চিন্তা করে দেখুন, শুধুমাত্র লোক দেখানো বা প্রতিযোগীতা ছাড়া খাঁটি সোনা বা ইমিটেশানের গহনার মধ্যে পার্থক্য কি ! খাঁটি সোনা পরলে আপনাকে বেশী সুন্দর দেখাবে – ব্যাপারটা কি এমন ? খাঁটি সোনার চেয়ে আকর্ষনীয় কোন গহনায় আপনাকে অসুন্দর দেখাবে ? খাঁটি সোনার প্রতি মোহ একপ্রকার অহংকার প্রদর্শন ও প্রতিযোগীতা যা তার চেয়ে কম অবস্থাপন্ন কাউকে দেখিয়ে মানুষ বিকৃত আনন্দ পায়।
এগুলোর চেয়ে বেশী জরুরী বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ, না হলে একদিন সাধারন সর্দির কোন এক ভাইরাস হঠাৎ নিজের বিবর্তন ঘটিয়ে করোনার চেয়ে ভয়ংকর কোন মহামারি নিয়ে আসবে। প্রত্যেক প্রাণীই টিকে থাকার স্বার্থে উপযুক্ত বা প্রতিকূল পরিবেশে মিউটেশান ঘটিয়ে আরো শক্তিশালী হয়। এটা কখন কিভাবে হবে তা আপাতত বলা যায় না। সেটা আগামী বছর বা ১০/১০০ বছর পরেও হতে পারে। যে দেশের মানুষের মাথায় বিবর্তন মানে ‘বানর থেকে মানুষ’ হওয়ার ধারনা তাদের অবশ্য এগুলো বোঝার ক্ষমতা কখনো হবে না। অন্যগ্রহে পাড়ি জমানোর মতো গবেষণাও এখন বিলাসিতা নয়, মানুষ প্রজাতির টিকে থাকার জন্য তা অপরিহার্য। কখনো এমন পরিস্থিতি মানুষের আসতে পারে যখন নিজেদের প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের ভিনগ্রহে পাড়ি দিতে হবে।
মানুষ তার দীর্ঘদিনের পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে কিছু প্রানীকে গৃহপালিত করেছে, খামারে তাদের উৎপাদন করে মাংসের জন্য। এই প্রাণীগুলো পরীক্ষিত, এদের থেকে ভয়ংকর কোন ভাইরাস আসে না। এর বাইরে প্রতিবেশ ধ্বংস করে বন্য প্রানী খাওয়া বা তাদের ত্যক্ত বিরক্ত করা ছেড়ে দিতে হবে মানুষের। বন্য প্রাণীর বেড়ে উঠা ও তাদের পরিবেশে গিয়ে তাদের বিরক্ত করতে থাকলে হয়ত কোন একদিন এই করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়ানক কোন ভাইরাসজনিত রোগ মানুষের শরীরে চলে আসতে পারে, যেমনটি এসেছে সার্স, মার্স, কোভিড, এইডস…।
করোনাভাইরাস থেকে যেমন মানুষ বাঁচতে চাচ্ছে – জগতের অনেক প্রাণী, উদ্ভিদের জন্য মানুষও সাক্ষাত করোনাভাইরাস। মানুষের উপদ্রব থেকে বাঁচতে চায় তাদের অনেকেই। এই পৃথিবী সবার। ফালতু, মিথ্যা, অহংকারী মনোভাবই মানুষকে দানব বানিয়েছে।
Related Posts

Sunlight: A Natural Medicine, Cultural Wisdom, and the Key to Healthy Longevity
For thousands of years, many civilizations have worshipped the sun as a deity – notRead More

সূর্যের আলো: প্রাকৃতিক ঔষধ, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি
হাজার হাজার বছর ধরে অনেক সভ্যতা সূর্যকে দেবতা মানে; শুধু বৈদিক, পৌরাণিক, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য,Read More

Protecting women is a man’s responsibility – this is a lesson rooted in evolutionary psychology
A common tendency across all societies is to take extra care of women. This isRead More
Comments are Closed