No more Terrorism in the name of Religion
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদে মানুষ হত্যা বন্ধ হোক, শেষ হোক সব সন্ত্রাস এই পৃথিবী থেকে
ফরাসীদের উপনিবেশকালীন কাহিনী তুলে এখন যারা ফরাসীদের উপর প্রতিক্রিয়া ও আক্রমনকে জাস্টিফাই করতে চাইছে তারা আসলেই সভ্য দুনিয়ার উপযোগী নয়। ১০০ জনের মনের অনুভূতি সতেজ রাখার চেয়ে ২ টা তাজা প্রান অনেক বেশী মূল্যবান। এমন কোন কাশ্মিরী পন্ডিত পেয়েছেন যারা উপত্যকা থেকে নির্যাতনের মুখে নির্বাসিত হয়ে কারো উপর ছুরি চাকু চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ? একটা গ্রামের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অন্য গ্রামের মানুষকে হত্যা করা শুরু করলে ঐ গ্রামের সবাই তো খারাপ না – এই বলে দ্বিতীয় গ্রামের মানুষদের ভয় দূর করতে পারবেন ? প্রথম গ্রামের স্কুলটিকে সবাই তখন ব্যর্থ বলে মনে করবে, কারন তারা সুশিক্ষা দিতে পারেনি। আপনি তত্ত্ব দিয়ে, তথ্য দিয়েও সাধারন মানুষের এই ভয় দূর করতে পারবেন না।
ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য কিছু দেশে তার নাগরিকদের সতর্ক হয়ে চলতে বলেছে। কেন মানুষ নির্ভয়ে পৃথিবীতে চলতে পারে না ? রাজনীতি বা সরকারের কোন ভূমিকার দায়ভারের প্রতিশোধ সাধারন মানুষকে হত্যা/নির্যাতনের মাধ্যমে যারা নেয় তারা কারা আসলে ? দুঃখের বিষয় হলো, আমার আপনার চারপাশে অসংখ্য মানুষ বসে আছে ত্যানা নিয়ে যারা সেই ত্যানা প্যাঁচিয়ে মিন মিন করে এক চিমটি সমালোচনা ও এক বালতি প্রশংসা করবে তাদের। যে উদ্দেশ্যেই হোক, কাউকে হত্যা করা হলে কোন মহৎ যুক্তি দিয়েও সেই হত্যাকে জাস্টিফাই করা যায় না।
এই ফ্রান্স ইরানের রেভ্যুলুশনের নেতা খমেনিকে তার দেশে এ্যাসাইলাম দিয়ে একসময় তার প্রান বাঁচিয়েছিল। প্রকারন্তরে রেভুল্যুশান আনতে সাহায্য করেছিল।
সন্ত্রাস যে ফর্মেই হোক, যে কারনেই হোক – পৃথিবী থেকে সকল সন্ত্রাস নির্মূল হোক। প্রতিটা মানুষ বেঁচে থাক তার পূর্ণ অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে।
সেপ্টেম্বরে তিউনিসিয়া থেকে ইতালি, অক্টোবরে ইতালি থেকে ফ্রান্সে পা রাখলো ২১ বছরের তরুণ। তিন সপ্তাহ পার হতে পারলো না ফ্রান্সে আশ্রয় পেয়ে সেই আশ্রয়দাতাদের ৩ জনকে জবাই করে ফেললো। ১৮ বছরের চেনেন ছেলেটি তার শিক্ষকে জবাই করে বসলো।
গতকাল লালমনিরহাটে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে প্রথমে পিটিয়ে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেললো মানুষ। এত আক্রোশ এদের ! মানুষের জীবনের কোনই মূল্য নেই তাদের কাছে। কিছু বললেই বলবে ইসরাইলের ষড়যন্ত্র। নিজেদের ভাবে শ্রেষ্ঠ, অন্যরা নিকৃষ্ট। ফালতু এক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সব আড়াল করতে চায়। সভ্য মানুষ তো এসব গালগল্প বিশ্বাস করবে না। তারা ভয় পাবে। নাম শুনে ভয় পায় – এটা আমার নিজের চোখে দেখা, বেশী দূরে না, এইতো পাশের দেশ নেপালে।
[ Please be careful, Graphic/Violent Content. ]
বাংলাদেশে তো মিছিল করার, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার লোক প্রচুর। সেদিন তো এক ডাকেই চল্লিশ হাজার মানুষ বেরিয়ে পড়লো। কিন্তু তারা এসব ঘটনায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে কেন ? ফেসবুকেও যারা গালির বন্যায় ভাসায় তারাও চুপসে যায়। আসলে এরা সবাই ছুপা, তলে তলে এগুলোকে সমর্থন করে। .অন্তত ‘আল্লাহু আকবর’ এই পবিত্র শব্দ দুটি সন্ত্রাসের কাজে, মানুষ হত্যার কাজে, বর্বরতা এবং নৃশংসতার কাজে কেউ যেন আর ব্যবহার করার সাহস না করে, এই জন্যও তো তাদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা উচিৎ।
কোন ধর্ম যারা চর্চা করে তারা যদি ভাল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারেন তবে সেটাকে আমরা প্রশংসায় নিয়ে আসতে পারি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তেমন উদাহরন দেয়ার মতো কাউকে দেখি না। আমরা যারা মানবতাবাদী মানুষ তারা খুব বেশী ব্যাথিত হই বাংলাদেশে, ভারতে, গাজায়, ফিলিস্তিনে, কাষ্মীরে, ইয়েমেনে, নায়জেরিয়ায়, ফ্রান্সে, আমেরিকায্ ইরাকে, সিরিয়ায়, ইরানে একটা মানুষও হত্যার শিকার হলে। ধর্ম, বর্ন, লিঙ্গ, দেশ, কাল, জাতির তোয়াক্কা না করে প্রতিটা জীবন আমাদের কাছে সমান মূল্যবান।
Related Posts
স্বৈরাচার যখন দানব হয়ে যায় তখন মানুষের লাশের গন্ধ তাদের কাছে প্রিয় হয়
আমি আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের কমিটির কখনোই কেউ ছিলাম না, এখনো নেই। আওয়ামী লীগ বাRead More
Crimes against humanity in Israel-Palestine and the inhumanity of Islam
I occasionally speak with a fairly wealthy American who is of British origin. The gentlemanRead More
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও ইসলামের অমানবিকতা
একজন মোটামুটি সম্পদশালী আমেরিকানের সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা হয়, ব্রিটিশ অরিজিন। ভদ্রলোকের অনেক বয়স, যদিওRead More
Comments are Closed