Beware clicking on Nude Videos in Facebook
ফেসবুকে যৌনতার ভিডিও দেখেই দয়া করে ক্লিক করবেন না, করলে আপনি সীমাহীন বিপদে পড়ে যেতে পারেন
[এই লেখাটা লিখতে আমার কয়েক ঘন্টা সময় নষ্ট হল, এই পিক আওয়ারে যার আর্থিক ক্ষতি কয়েক হাজার টাকা। আপনার পড়তে ও শেয়ার দিতে তেমন কোন ক্ষতি নেই ]
কেইস স্টাডি – একজন প্রকৃত ব্যক্তির উদাহরন
জনাব সেলিম রেজা। এক সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্বভাবতই সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। আমার সঙ্গে তার কোন পরিচয় নেই। তারপরও তার প্রোফাইল সামনে চলে আসল। একটা গ্রুপ থেকে তাকে ব্লক করে দেয়ার পূর্বমূহুর্ত্তে মনে হল দেখি আসল ঘটনা কি ! উনি বেশ যন্ত্রনায় আছেন প্রায় বছরখানিক ধরে। বিভিন্ন সময়ে তার স্ট্যাটাস সেটার প্রমান দেয়। উনার প্রোফাইল থেকে তার বন্ধুদের কাছে ম্যাসেজ যায়, কমেন্ট যায় বিভিন্ন গ্রুপে। পিওর সেক্সুয়াল ভিডিও’র স্ক্রীনশট সেগুলো। তার বন্ধুরা বেশ তাজ্জব বনে যায় তার নামে এসব ছড়ানোয়। উনি দোষারোপ করেন নাম না জানা হ্যাকারের যে তার প্রোফাইলের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে। আসলেই কি কোন হ্যাকার আছে এর সঙ্গে ? কেউ পরামর্শ দেয় মোবাইল অন্য কারো হাতে না দিতে।
উনি এই সমস্ত জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। কোন এক জারজ সন্তানের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নিজে ভারমুক্ত থাকতে চেয়েছেন। নিজে চেষ্টাও করছেন পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে। স্ট্যাটস টি প্রায় এক বছর আগের। এবার নীচের স্ক্রীনশট টি দেখুন। এটি পোস্ট হয়েছে এই এপ্রিলের ১৬ তারিখে কোন এক গ্রুপের কমেন্ট হসাবে।
উত্তরঃ হ্যাকার সিস্টেম বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। টোপ ফেলেছে বরশিতে। উনি সেটা গিলেছেন। হ্যাকারেরও হিসাব নেই উনি টোপ গিলেছেন। উনি নিজেও জানেন না উনি প্রতিনিয়ত একই ধরনের টোপ গিলছেন।
কিছু প্রশ্ন
– আচ্ছা সেলিম সাহেব, আপনি কি কখনো বা প্রায়ই একই রকম ভিডিও আপনার কোন বন্ধুর প্রোফাইল থেকে আসলে সেটাতে ক্লিক করেন ? – আচ্ছা যদি ক্লিক করেই থাকেন, কেন করেন ? ঐ ভিডিও’র বিষয়বস্তু কি সেটা দেখার জন্য ? – ভিডিওতে ক্লিক করার পর আপনি কি ঐ ভিডিও দেখতে পান ? যদি না পান ওখানে আপনাকে কিছু বিষয়ে জানানো হয়। আপনি কি সেগুলো পড়ে দেখেন পারমিশান দেয়ার আগে ?
এবার আসুন কিছু কথা বলি
আপনি ঐ সমস্ত ভিডিও নামধারী স্প্যামিং পোস্ট এ ক্লিক করেছেন বা করেন। আপনি যতই নিজের দোষ আড়াল করতে চান না কেন আপনি ঐ ভিডিওর বিষয়বস্তু দেখার জন্য আগ্রহী ছিলেন বা থাকেন। আপনি যখনি ওখানে ক্লিক করেন তখন ঐ ভিডিও আপনাকে অন্য একটা পেইজে রিডাইরেক্ট করে দেয়। হয়ত সেটা ফেসবুকের চেহারর মত একটা সাইট কিন্তু ফেসবুক নয়। আপনি আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য সেখানে দিয়ে দেন ঐ ভিডিও’র শেষ দেখার জন্য। ঐ মূহুর্ত্তে আপনি শিকার হয়ে গেলেন। যেটাকে ফিশিং বলা হয়। এখন হ্যাকারের সিস্টেম আপনাকে নিয়ে খেলবে। আপনার নামে ঐ ভিডিও নামধারী লিংক আপনার বন্ধুদের পাঠাবে। অথচ আপনি যদি ঐ ভিডিও না দেখার চেষ্টা করতেন, আপনার পার্সোনালিটি ও নৈতিকতার চাদরে আবদ্ধ থাকতেন তাহলে এই ঘটনাগুলো ঘটত না।
দেখুন বিশ্বে হাজার রকমের বাটপাড় আছে। ফেসবুক এখন শত কোটি মানুষের পরিবার। এখানেও হাজার হাজার বাটপাড় আছে। ফেসবুক্র কিছু সিকিউরিটি ইস্যু ও আপনাদের অসচেতনতার কারনে ঐ বাটপাড়রা সুযোগ নেয়। মধ্যে পড়ে মানুষের কাছে প্রকাশ পায় আপনার ব্যক্তিত্বের ভিতরে লুকানো লুল মানুষটির চেহারা। এটা শুধু আপনার একার সমস্যা নয়, হাজারো ফেসবুক ব্যবহারকারীর ভিতরের চেহারা। বাহিরে ধার্মিক কিন্তু ভিতরে এমন লুল চরিত্র বের করে নিয়ে আসে ঐ সমস্ত ফিশিং ভাইরাস। আপনি টোপ না গিললে কিন্তু ওরা আপনাকে তাদের শিকার বানাতে পারবে না।
মাথা, চোখ আছে আপনাদের। একটু প্রয়োগ করুন দয়া করে। ২/৪ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার মাথা প্রসেস করতে পারে। নৈতিকতার মানদন্ডে স্থির থাকুন। কোন টাকার প্রলোভন, যৌনতার প্রলোভন, অন্য যে কোন প্রলোভন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। দেখবেন শুধু ফেসবুক কেন, অন্য কোন জায়গাতেই আপনাকে আর বিব্রত হতে হবে না।
সবার জন্য
সম্প্রতি আপনি ফেসবুকের নিউজ ফিড, কমেন্ট, ম্যাসেজ এ প্রচুর নগ্ন ভিডিও স্ক্রীনের শট দেখতে পাবেন। এই স্প্যাম ভিডিওগুলো দয়া করে ক্লিক করবেন না, এমনকি আপনার বন্ধুর নামে সেগুলো দেখালেও সেটাতে ক্লিক করবেন না। ঐ পোস্টটি মুছে ফেলুন এবং ফেসবুকে সরাসরি রিপোর্ট করুন। আপনার বন্ধুকে জানান তার ফেসবুক একাউন্টের নিয়ন্ত্রন এখন অন্যের হাতে। দ্রুত সেটা থেকে তার মুক্তি পাওয়া দরকার।
আপনি যদি ইচ্ছাকৃত বা ভুল করে সেখানে ক্লিক করে বসেন তাহলে কি ঘটতে পারে ? এটা প্রথমত আপনাকে অন্য সাইটে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার অনেক তথ্য চাইবে বা আপনার ফেসবুকের তথ্যে একসেস চাইবে। ঐ সাইটগুলোতে কী-লগার, পাসওয়ার্ড চুরি, ম্যালাওয়ার, স্পাইওয়্যার এবং এজাতীয় অনেক ক্ষতিকর ভাইরাস থাকতে পারে যা আপনার ফেসবুকের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিবে। আপনার নামে আপনার বন্ধুদের ম্যাসেজ দিবে, কমেন্ট করবে। এক কথায় এই ঘটনা ঘটা আপনার জন্য খুবই রিস্কের ব্যাপার।
আমি কিভাবে জানব যে ভিডিও মনে করা পোস্ট টি ঝুঁকিপূর্ণ ?
– সব ভিডিও যেমন ফরওয়ার্ডিং URL এর অস্বাভাবিক বিভিন্ন লিংক থাকবে: যেমন katourao .us, CABIBENU. COMMONDATASTORAGE. GOOGLEAPIS .COM- ভিডিও ফাঁস, অবাঞ্ছিতভাবে ছবি, এবং অস্বাভাবিক খবর, সেলিব্রিটিদের সম্পর্কে কিছু , একটি গোপন বিষয় যা আপনি কখনই কোন ওয়েবসাইটে পাবেন না- নগ্নতা, পর্ণোগ্রাফি- আপনি ভিডিও টি দেখলে ফেসবুক বা অন্য কেউ এত ডলার দান করবে – একটি দুঃখজনক সংবাদ যা আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে, এমন অন্য অনেক বিষয় থাকতে পারে যা হ্যাকার তার কৌশল প্রয়োগ করে আপনাকে বোকা বানিয়ে, প্রলুব্ধ করতে পারে
আমি কিভাবে ফেসবুকে স্প্যাম ভাইরাস ভিডিও থেকে রক্ষা পাব ?
– আগে আপনি ভিডিও/পোস্ট লিংকের উপর মাউস রেখে দেখুন সেটা কোন সাইটে রিডাইরেক্ট দেখাচ্ছে। সেটা যদি facebook.com বা আপনার পরিচিত কোন সাইট যেমন youtube.com দেখায় তবে আপনি ক্লিক করে সেখানে যেতে পারেন। অন্যথায় পোস্ট ডিলিট করে রিপোর্ট করুন- দেখুন ভিডিওর উপরে মাউস ধরলে প্লে বাটনের কোন পরিবর্তন হয় কিনা। ফেসবুক বা ইউটিউবের ক্ষেত্রে এটি পরিবর্তন হয়। সাইজ খেয়াল করুন ফেসবুকের বা ইউটিউবের ভিডিও’র চেয়ে প্লে বাটন বড় বা ছোট কিনা। যদি কোনরুপ সন্দেহ হয় তবে পোস্ট ডিলিট করে রিপোর্ট করুন- যদি ভুল করে ক্লিক করে বসেন তবে সঙ্গে সঙ্গে লগ আউট হয়ে যান- আপনার পাসওয়ার্ড এখুনি পরিবর্তন করুন- আপনার ব্রাউজারে কোন প্লাগিন্স/এক্সটেনশন ইন্সটল করা আছে কিনা দেখুন, থাকলে সেগুলো রিমুভ করুনআপনার ব্রাউজার ইতিহাস এবং পিসি থেকে আপনার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ লগ মুছে ফেলুন.- আপনার ফায়ারওয়াল চালু করুন.- Malwarebytes, বা ইন্টারনেট নিরাপত্তা যুক্ত এন্টি ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার রিমুভাল সফটওয়্যার ব্যবহার করুন- আপনার পিসি স্ক্যান করুন
মাথাকে কাজে লাগান, চোখ খোলা রাখুন। টাকা-পয়সা, যৌনতা, অন্য কোন সুবিধার প্রলোভনে পড়বেন না।
এই টিপসগুলো শেয়ার দিয়ে সংরক্ষন করুন ও অন্যদের জানান। মনে রাখবেন, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হবে আপনার অসাবধানতা ও লোভ সংবরন না করতে পারার জন্য। সমস্যাগুলো ফেসবুকের নয়। প্রতিনিয়ত এই সমস্ত স্প্যাম ও তার ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সুতরাং আপনাকে সচেতন হতে হবে। ফেসবুক ব্যবহার সহ ইন্টারনেট দুনিয়া এত সহজ নয়। লোভে না পড়লে এখানে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখবেন, কেউ ফ্রিতে কিছু দেয় না এখানে তার কোন স্বার্থ ছাড়া।
আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Related Posts
What can be the problem if someone takes blood from his family member?
This is a frequently asked and very important question about blood donation. If you wantRead More
কেউ তার পরিবারের সদস্য থেকে রক্ত নিলে কি সমস্যা হতে পারে?
ব্লাড ডোনেশন সম্পর্কে এটা বহুল জিজ্ঞাসিত ও অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন। ছোট করে উত্তর শুনতেRead More
ফেবু মুমিনদের সহজ সরলতা, কুযুক্তি ও শেষে চাপাতির কোপ !
ফেসবুকীয় মুমিন মানেই ‘ছাগল” অন্যকথায় ছাগু (ফেসবুক আবার তাদের সম্মানার্থে ছাগু সরাসরি লিখলে গোস্বা করেRead More
Comments are Closed