
BCS-Mania: an Ominous Trend !
অখাদ্য শিক্ষাব্যবস্থা ও দুর্বৃত্তায়নের সিস্টেমে সবাই শুধু বিসিএস হতে চায়
যারা সত্যিকারের জ্ঞানপিপাসু তাদের পড়ার জন্য এমন আলাদা জায়গায় টেবিল চেয়ার নিয়ে বসতে হয় না। তারা চাইলে সী-বিচে, গাছের নীচে, বাসে, বাসায় সব জায়গায় পড়তে পারে। এই বিসিএস ম্যানিয়াক প্রজন্ম দিয়ে দেশের কি উন্নতি হবে ? পিএসসি এতো বছরেও একটা কার্যকর ও সত্যিকারের সৎ, নিবেদিতপ্রাণ, মেধাবী, দক্ষ ও সৃজনশীল মানুষদের বের করার পদ্ধতি বের করতে পারলো না। আর সবাইকে কেন বছরের পর বছর ধরে এক বিসিএস এর পিছনে দৌঁড়াতে হবে ? দূর্ণীতি ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে অনেকেই পার পেয়ে যেতে পারে এই একটি বিষয় অনেকের কাছে বড় অনুপ্রেরনা হয়ে দেখা দেয়। যারা সত্যিকারের মেধাবী তাদের এতো আয়োজন করে পড়ার পরিবেশ দরকার হয় না।
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষে উঠলেই বিসিএস’র জন্য পড়াশোনা শুরু করে দেয়। গাইড বই কিনে দরজা বন্ধ করে সাধারণ জ্ঞান আর ভোকাবিউলারি মুখস্থ করে। শিক্ষার্থীরা ওই বই মুখস্থ করলেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রিলিতে টিকে যাবে। এসব বইতে লেখা আছে কত কত অজানা তথ্য। ঘোড়াশালে সার কারখানা কবে স্থাপিত হয়েছিলো, বাংলাদেশে পাটকল কয়টি, ইরি আর বিরির এব্রিভিয়েশনসহ নানা অজানা প্রশ্ন। এভারেস্টের উচ্চতা দিয়ে একজন সরকারী কর্মচারীর কাজ কি সেটা বোধগম্য নয়। অবাধ তথ্য প্রবাহের এ যুগে এগুলো মাথায় কেন গেঁথে রাখতে হবে ? সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এর কর্তাব্যক্তিরা মনে করেন এমন সাধারণ জ্ঞান যাদের রয়েছে তারাই দেশের প্রকৃত মেধাবী। মেধা মূল্যায়নের এমন অলৌকিক পদ্ধতি শুধু বাংলাদেশেই দেখা যায়।
অখাদ্য শিক্ষাব্যবস্থা ও দুর্বৃত্তায়নের সিস্টেমে সবাই শুধু বিসিএস হতে চায়। কেউ বিজ্ঞানী, গবেষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকতে চায় না এদেশে। কারন এখানে বিসিএস ছাড়া অন্যদের যত অবদানই থাক দিনশেষে বিসিএস-ই সব কিছুর উর্দ্ধে। বিসিএসেও আবার এলিট ক্লাস আছে, আছে অর্থনৈতিক ও ক্ষমতার ক্লাসিফিকেশান। এই ক্লাসিফিকেশানের উপরেই নির্ভর করে কে প্রশাসন, কে কাস্টমস, কে ট্যাক্স, কে পুলিশে প্রথম চয়েস দিবে।
যে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে ও যে পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে হাজার হাজার চোর, দূর্নীতিবাজ, তোষামোদকারী, অকর্মণ্য, অযোগ্য, অপদার্থ লোক সরকারী কর্মচারী হওয়ার সুযোগ পায় সে শিক্ষাব্যবস্থা ও নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তবে কিছু কিছু সৎ, মেধাবী, দক্ষ, সৃজনশীল মানুষও আছেন যারা এমনিতেই তাদের নিজের যোগ্যতায় এতো আয়োজন করে না পড়াশুনা করেও টিকে যান। কিন্তু তারা হাজার হাজার দূর্নীতিবাজ, তেলবাজ, অপদার্থ মানুষের ইকোসিস্টেমে স্রোতে গা ভাসিয়ে চুপসে যান অনেক সময়। খুব কম সংখ্যক আছেন স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মেরুদন্ড শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।
০২ টি সংশ্লিষ্ট সংবাদ লিংকঃ
https://tinyurl.com/6yrw7b4v
https://tinyurl.com/276yv3cf
Related Posts

কোরান কি আসলেই নির্ভুল? বৈজ্ঞানিকরা কি কোরান নিয়ে গবেষণা করেন?
পাকিস্তানের এক তথাকথিত স্কলার একবার জীন দিয়ে বিদ্যূৎ উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন নাকি! মোল্লা তারিকRead More

ইসলামের স্বার্থে মিথ্যা, প্রতারনা তথা তাকিয়াবাজি বৈধ !
গবাদিকূল পারেও। জান্নাত জুবাইর নামের এই মেয়ে নাকি বলিউডে অভিনয় করে, আমি জানিনা। ধূর্ত গবাদগুলোRead More

“লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন”- “যার যার ধর্ম তার তার কাছে”
“লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন”- “যার যার ধর্ম তার তার কাছে” তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।Read More
Comments are Closed