Stop Cruelty to Animals

Stop Cruelty to Animals

কোন উৎসবের জন্য গনহারে পশু হত্যা নয়, পশুর প্রতি সদয় হওয়াও মানবতার অংশ

No cruelty to animals in the name of religious rituals.

মানুষ তার বাঁচার তাগিদেই খাবার খায়। পানি বাদে এই খাদ্য তালিকায় সরাসরি জড় পদার্থ তেমন বেশী না। মনে করতে বললে হয়তো লবনই বলতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য যে খাদ্য আছে তার প্রায় সবই আসে কোন না কোনভাবে অন্য জীব থেকেই, গাছ ও প্রানী থেকে। জীবজগতের এই খাদ্য শৃঙ্খল একদিনে যেমন তৈরি হয়নি তেমন একদিনে এটা ভাঙ্গাও যাবে না। খাদ্যাভ্যাসও দীর্ঘ দিনে তৈরি হয়। কক্সবাজারের মানুষ যেমন স্বাদু পানির মাছ খায় না সচরাচর, রংপুরের মানুষও তেমনি অনেক সামুদ্রিক মাছ কিভাবে রান্না করতে হয় তাও জানে না। নেপাল, তিব্বতের মানুষ মাছে আসক্ত না, কারন সেখানে মাছ সহজলভ্য না।

মানুষ ও অন্যান্য প্রানীর এই খাদ্যাভ্যাস ঠিক করে দিয়েছে প্রকৃতি। মানে মানুষ নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রকৃতিতে প্রাপ্ত খাদ্য থেকে বেছে বেছে তার জন্য উপযোগীগুলো নির্ধারন করে নিয়েছে হাজার বছর ধরে। মানুষ খাবে। উদ্ভিদ খাবে, অন্যান্য খাবার উপযোগী প্রানীও খাবে তবে পিকনিকের নামে, ভূরিভোজের নামে শত শত প্রানীর জীবন নেয়া অপ্রয়োজনীয়। খাবারের প্রয়োজন ছাড়াও মানুষ প্রানী হত্যা করে, উদ্ভিদের জীবন বিপন্ন করে। সভ্য দেশ বলে দাবীদার ডেনমার্ক ডলফিনের ঝাঁককে সমুদের তীরে তাড়িয়ে নিয়ে এসে ছুরি দিয়ে কেটে সমুদ্রের পানি রঞ্জিত করে উল্লাস করে। বিদেশে হরিন শিকার করে উৎসব করে, বন্দুকের নিশানা প্রাকটিস করার জন্য প্রানী হত্যা করে অনেকে। যেগুলোর সবই অন্যায় বলে বিবেচনা করে মানবিক মানুষেরা। ঠিক যেমন নেপালে উৎসব করে হাজার হাজার মহিষকে হত্যা করা হতো (এখন সম্ভবত আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে)। এমন না যে নেপালের মানুষের আমিষের অভাব, একদিনে তারা পেট পুরে আমিষ খেয়ে, কমোড ভরে হেগে সারা বছরের আমিষের অভাব পূরণ করবে।

Stop cruelty to animals in the name of religious rituals.

অবস্থানগত ও জলবায়ুগত কারনে আফ্রিকার এক বড় অঞ্চলজুড়ে সূর্যের প্রখর উত্তাপে পানি শুকিয়ে যায়। প্রাকৃতিক নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর জলাশয় সেখানে বিরল। আর পানি না থাকলে গাছপালা জন্মায় না বেশী, সেখানে মাটিতে লবনেরও আধিক্য। কিছু নির্দিষ্ট প্রানী যারা মরুভূমির পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে তেমন কিছু প্রানী সেখানে বেড়ে উঠে। সেখানকার মানুষেরও প্রাচীনকাল থেকে সেই সামান্য উদ্ভিদ ও প্রানীর উপরে নির্ভর করে থাকতে হয়েছে। ফলে, মরু আফ্রিকানদের মধ্যে মাছ, মুরগী ও শাকসবজী খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে ওঠেনি। অর্থাৎ পরিবেশগত জটিলতার কারণেই আরবদের মাংসভোজী হতে হয়েছে। মাংসভোজী হওয়া ছাড়া তাদের জন্য আর বিকল্প কোন উপায় ছিল না। ঐ অঞ্চলের মানুষ শখ করে শাক সবজি বা মাছ খেলেও তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বা উৎসবে এগুলো থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের জলবায়ু সম্পূর্ণই আলাদা প্রকৃতির – আফ্রিকার মরুতে ধূধূ বালু ও লবণাক্ত মাটি-পানি পক্ষান্তরে ভারতের বিস্তির্ন এলাকা পলিমাটি বিধৌত একটি উর্বর ভূমি যেখানে স্বাদু পানিবিশিষ্ট পুকুর নদীনালা ও নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু দেখা যায়। এখানে প্রকৃতিতে প্রচুর গাছপালা, নন, নদী, হাওড় বাওড়। এজন্য এ এলাকার খাদ্যাভ্যাস আফ্রিকা থেকে আলাদা ধরনের। বাঙ্গালির যেমন মাছ ছাড়া চলে না। তার ডালও খেতে হয়। মাংসও খায়। কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলের নিজস্ব উৎসবগুলি তাই কৃষিভিত্তিক। এখন আফ্রিকার কোন রীতিকে ভারতে চাপিয়ে দিলে বা ভারতের কোন রীতিকে আফ্রিকায় চাপিয়ে দিলে বিপদ। প্রকৃতি কখনো এই বিরুদ্ধ ধারাকে প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু প্রকৃতি এটা মেনে নেয় যদি তার সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হয়, অপ্রয়োজনীয় অপচয় ও বিলাসিতার জন্য কোন ক্ষতি নয়।

ঠিক একই প্রাকৃতিক কারনে ভারতীয় অঞ্চলে মানুষ মৃতদেহের সৎকার করে আগুনে পুড়িয়ে। কারন এখানে গাছের প্রাচুর্য। অন্যদিকে আফিকার মরু অঞ্চলে মৃতদেহের সৎকার করা হয় মাটিতে পুঁতে। মানুষ হাজার বছর ধরে প্রকৃতির সঙ্গে টিকে থাকতে এ কৌশলগুলো যার যার অঞ্চলভিত্তিক রপ্ত করেছে।

তার মানে এই নয় যে কম্বোডিয়ায় বা ভিয়েৎনামের কোন অঞ্চলের জ্যান্ত গরু, ছাগলকে দাঁড়ানো অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে খেতে হবে। এগুলো বর্তমান সভ্য মানুষ অমানবিক হিসাবে দেখে। অনেক দেশ আইন করে ঠিক করে দিয়েছে মাংসের জন্য প্রানী হত্যা করতে হলে কিভাবে সেটা করতে হবে, কারা করবে, কোথায় করবে। সেই আইনগুলোর লক্ষ্য থাকে প্রানীটি যেনো সবচেয়ে কম কষ্ট পায়, সাধারন মানুষ যেনো সেই কর্মকান্ড না দেখে। কেন দেখতে মানা এই বিষয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেই সমস্ত গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে এই মাংস প্রসেস কর্মকান্ড সাধারন মানুষের দেখা জরুরী নয় বরং ক্ষতিকর। এখন কোন ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট যদি এই সভ্য নিয়ম না মানে, সেটা সে না মানতেই পারে কিন্তু এই নিয়মের বিরোধীতা করা তার জন্য অশোভন। পরিস্থিতি, যথার্থ সুযোগের অভাব বিভিন্ন কারনে এই প্রাকটিস সব দেশে হয়তো এখনি করা সম্ভব না। কিন্তু এটা তো বিশ্বাস করতে দোষ নেই যে সভ্য প্রাকটিসে আমাদের যেতে হবে একসময়। যদি কখনো মানবিকতা ও কোন অঞ্চলের প্রচলিত পদ্ধতি বা বিশ্বাসের বিরোধ দেখা দেয় তখন মানবিকতাকেই শ্রেষ্ঠ বলে ধরে নিতে হবে, সেটা মেনে চলা সম্ভব হোক বা না হোক। যে মানুষ অন্য মানুষের জন্যই মানবিক হতে পারে না সে অন্য প্রানীর প্রতি মানবিক আচরন করবে এটা ভাবা বোকাদের কাজ।

আপনারা যারা সুযোগ পেলে কাঁছা দিয়ে ইউরোপে দৌঁড়াতে এক পায়ে খাঁড়া তারা এই রিপোর্টটা পড়ে দেখতে পারেন ইউরোপের দেশগুলোর এই বিষয়ে অবস্থান কি সেটা জানার জন্য। আমেরিকার ১৯৫৮ সালের আইনটাও পড়ে দেখতে পারেন। এখন সেখানে চুরি চামারি করে কে কি করছে সেটা উদাহরন নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে বা সামাজিকভাবে মানুষ পশুদের উপর কোন অমানবিক আচরন বা মানুষের শুভচিন্তার বিপক্ষে কিছু করছে কিনা সেটা বিবেচ্য।

Related Posts

North Sentinelese

Are religion, country, race, patriotism, and nationalism all racist concepts?

The only uncontacted human tribe left in the world today are the Sentinelese of NorthRead More

North Sentinelese

ধর্ম, দেশ, জাতি, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ সবই কি বর্ণবাদী কনসেপ্ট?

পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত একমাত্র আন কন্টাক্টেড মনুষ্য প্রজাতি আমাদের বঙ্গোপসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের সেন্টিনেলীরা। তারাRead More

Durga vs Mahishasura

Durga or Mahishasura – who is the true hero of the mythological legend?

Bhagura (Indian extremist goat – Indian Shit) have, in 2025, created a Mahishasura effigy inRead More

Comments are Closed