
Religious Extremists in Government Services
সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অনেক জঙ্গি মনস্ক মানুষ আছে যারা দেশের জন্য অশনি সংকেত
এদেশে জঙ্গি চিন্তাধারার মানুষ পুলিশ, প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, জেলখানা, হাসপাতাল, সবখানে আছে। এই দেখেন বাংলা ট্রুবিউন একটা কথোপকথন প্রকাশ করেছে ঢাকা কারাগারের। এক কারারক্ষী এক হেফাজত নেতার সঙ্গে কিভাবে কথা বলেছেন তা তারা অডিওসহ প্রকাশ করেছেন সংবাদে। এটা খুব ভয়ংকর অশনিসংকেত। পাকিস্তানের একজন পুলিশ সদস্য এক ভিন্নমতের অধ্যাপককে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের হেফাজতের মিটিং থেকে বিশৃঙ্খলার আশংকায় সরকার যে পুলিশ পাঠায়, মূল দায়িত্ব ফেলে বাবুনাগরীর দোয়ায় যখন তাদের মুনাজাত ধরতে দেখেন তখন শংকিত হওয়ার মত বিষয় আছে। পাকিস্তানের উদাহরন দিয়ে বলা যায়, ধরুন, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার নিয়ন্ত্রন একদিন সেনাবাহিনীর জঙ্গি সাপোর্টদের সৌজন্যে যদি লস্কর কিংবা জইশ-ই-মহাম্মদ বা পাকিস্তানি তালেবানদের হাতে গিয়ে পড়ে সেই ভয়টাই বড় নয়, বড় ভয় হচ্ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লোক দিয়ে দখল করে নিলে তখন সরকারে কে থাকলো আর গেল তাতে কিছু যায় আসবে না, দেশের বারোটা বাজার বেজে যাবে অটোমেটিক।
সুতরাং সরকারী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সময় টাকার খেলা কঠিনভাবে দমন করে, মেধাবী ও দক্ষ লোক বাছাই করার পাশাপাশি তার ব্যকগ্রাউন্ড চেক ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা খুবই জরুরী। নিয়মিত তাদের আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মটিভেশান দেয়াটাও জরুরী।
কথোপকথন ছিল এটাঃ
কারারক্ষী: শরীফ ভাই, আসসালামুআলাইকুম
হেফাজত নেতা: ওলাইকুম আসসালাম, কে?
কারারক্ষী: আমি ঢাকা কারাগার থেকে বলছি, রেজাউল। চিনতে পারছেন তো?
হেফাজত নেতা: হ্যাঁ, হ্যাঁ, চিনছি।
কারারক্ষী: ভালো আছেন তো?
হেফাজত নেতা: জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ।
কারারক্ষী: এইখানে তো হেফাজতের নতুন নতুন অনেক লোক আইছে, বুঝেন নাই?
হেফাজত নেতা: জ্বি।
কারারক্ষী: মনিরুজ্জামান আছে না। জেলখানায় আছে যে।
হেফাজত নেতা: হ্যাঁ।
কারারক্ষী: আমি এইমাত্র কথা বললাম।
হেফাজত নেতা: ওদের সহযোগিতা করেন, যতটুকু পারেন।
কারারক্ষী: আল্লাহর রহমতে… দোয়া…দোয়া, তাদের প্রাথমিক যেগুলো প্রয়োজন কাপড়চোপড়…খাবার-দাবার হ্যাঁ
হেফাজত নেতা: এখানে কয়জন আছে জানায়েন আমারে। এইটা অ্যাসেনশিয়াল। আমি তো ফোন রিসিভ করি না। হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়েন।
কারারক্ষী: বুঝি নাই।
হেফাজত নেতা: আমার ফোন তো ট্র্যাক হয়।
কারারক্ষী: আর কোনও নাম্বার আছে।
হেফাজত নেতা: আচ্ছা, আছে। অন্য নাম্বার আপনাকে দিচ্ছি। নাম্বারটা কীভাবে দেবো আপনাকে। বললেও তো সমস্যা।
কারারক্ষী: আপনার সঙ্গে তো যোগাযোগ করতে হবে। কীভাবে কি করবো। এখানে অনেক লোকজন আছে তো, নতুন লোক। আমি এই নাম্বার রাখলাম। এই নাম্বারে অন্য একটা নাম্বার দিয়া যোগাযোগ করবো।
হেফাজত নেতা: ওকে।
কারারক্ষী: আপনি মনিরের নাম্বার দিয়েন। মনিরকে দিলে আমি পামু।
হেফাজত নেতা: ওকে ওকে।
কারারক্ষী: দোয়া কইরেন ঠিক আছে। এখানে যারা আসতেছে হেফাজতের খুঁইজা খুঁইজা বের করতাছি। তাদের দেখাশোনা….আল্লাহর রহমতে করতেছি।
হেফাজত নেতা: ওকে ঠিক আছে।
Related Posts

Was this unexpected victory of Shibir in the DUCSU election actually expected?
At Dhaka University, Shibir is winning simply by securing votes – that’s the reality. AcrossRead More

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের এই অপ্রত্যাশিত বিজয় কি প্রত্যাশিতই ছিল?
ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে শিবির ভোট পেয়েই জিতছে, এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট কিছু না কিছু ভুলRead More

১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন – বি এন পি যেভাবে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছিল
২০২৪ এর ঐতিহাসিক গণ-অভভুত্থানের আগে ১৯৯০ সালে ছাত্র জনতার ত্যাগের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র বিকাশের যেRead More
Comments are Closed