
Prophet Muhammad
নবী মোহাম্মদ কি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ?
Is Prophet Muhammad the greatest human of all time?
কিছু ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি দাবি করেন, অমুসলিম বিখ্যাত স্কলাররা নাকি তাদের বইয়ে লিখেছেন – মুহাম্মদ ছিলেন সর্বকালের, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ সত্যবাদী ও মহান মানুষ। এই ধরনের দাবি যদি সত্য হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নির্দিষ্ট বইয়ের নাম এবং লেখকের নাম উল্লেখ করুন। কোন পৃষ্ঠায়, কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করা হয়েছে – সেটাও জানাতে হবে। তারপরই যুক্তিসম্মত আলোচনা সম্ভব। ওয়াজ মাহফিলে কিছু বক্তা যা-ই বলুন, তা যাচাই না করে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যুক্তিসঙ্গত নয়। আহমাদুইল্লা, আব্বাসি, আজহারি কিংবা টিভির জাকির নায়েক – যেই বলুন না কেন, তাদের বক্তব্যের প্রমাণ দেখাতে হবে। যুক্তি ও তথ্য ছাড়া কোনো দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, নবী মুহাম্মদ যখন রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল অবস্থানে ছিলেন, তখন তিনি বিরোধিতা ও সমালোচনাকে সহ্য করতেন, এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে নিজের জন্মস্থান মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন তিনি রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতায়ন অর্জন করেন, তখন তিনি বিজয়ীর মতো মক্কায় ফিরে আসেন এবং তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। অনেক ঐতিহাসিক সূত্রে দেখা যায়, সেই সময় তার বিরুদ্ধে সমালোচনা বা বিদ্রূপ করলে কঠোর শাস্তির বিধান কার্যকর করা হতো। এই প্রসঙ্গে কিছু মুসলিম ঐতিহ্য ও ফিকহে “শাতিমে রাসূল” বা নবীকে অবমাননার শাস্তি নিয়ে আলোচনা রয়েছে, যেখানে সমালোচনার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। আলোচনায় কবি ইমরুল কায়েসের নাম এসেছে, যিনি ঐতিহাসিকভাবে নবী মুহাম্মদের সমালোচনার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন বলে কিছু ইসলামী সূত্রে দাবি করা হয়। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়: ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহর সমালোচনার পর অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে ক্ষমা পাওয়া সম্ভব, কিন্তু নবী মুহাম্মদের সমালোচনার ক্ষেত্রে কোন ক্ষমা নেই, ইসলাম তাকে হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছে। এই বিধানকে পরবর্তীতে কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী নিজেদের কার্যক্রমের ন্যায্যতা হিসেবে এখনো ব্যবহার করে। এই দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে বহু চিন্তাবিদ ও গবেষক প্রশ্ন তুলেছেন এবং এটি ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও নৈতিকতার আলোকে পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
নবী মুহাম্মদের জীবনী বিশ্লেষণ করলে এমন বহু আচরণ ও সিদ্ধান্তের সন্ধান পাওয়া যায়, যা মানবিক মূল্যবোধের আলোকে প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি আজকের যুগের একজন সাধারণ নৈতিক মানুষও অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়ে মানবিক ও ন্যায়নিষ্ঠ বলে বিবেচিত হতে পারেন। তার জীবনের নানা দিক – যেমন প্রতিহিংসাপরায়ণতা, স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য আয়াতের ব্যবহার, বহুগামীতা, শিশুবিবাহ, শিশুদের সঙ্গে যৌনাচার এবং অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য – এসবই কোরান, হাদীস, সিরাত ও তাফসিরের পাঠ থেকেই উঠে আসে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আয়েশার একটি মন্তব্য হাদীসে পাওয়া যায়, যেখানে তিনি নবীর আয়াত নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে মশকরা করেছেন – যখন যা প্রয়োজন, তখন সেই আয়াত। এটি ইঙ্গিত করে যে আয়াতের নাজিল অনেক সময় ব্যক্তিগত প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
মুহাম্মদের জীবনী নিয়ে কোনো নিরপেক্ষ বা বহিরাগত ঐতিহাসিক দলিল নেই। আশপাশের রাজদরবার, এমনকি তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর গ্রীক দার্শনিকরাও তার সম্পর্কে কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য রেখে যাননি। অথচ মুসলিম সমাজে তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ও সর্বযুগের আদর্শ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, মুহাম্মদের জীবন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের একমাত্র উৎস তার নিজের বর্ণনা – যা কোরান, হাদীস, সিরাত ও তাফসিরে সংরক্ষিত। আর সেখান থেকেই উঠে আসে এমন বহু দিক, যা সমালোচনার যোগ্য এবং মানবিক মূল্যবোধের আলোকে পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে।
মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বিখ্যাত বই “The 100: A Ranking of the Most Influential Persons in History” – এ ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা তৈরি করেছেন, যেখানে তিনি মুহাম্মদকে প্রথম স্থানে রেখেছেন। এটি “প্রভাবশালী” ব্যক্তিত্বের তালিকা – “সেরা” বা “নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ” ব্যক্তিত্বের নয়। কিন্তু বাংলা অনুবাদে বইটির শিরোনাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে পৃথিবীর সেরা ১০০ মনীষী, যা মূল ভাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বিভ্রান্তিকর। এই অনুবাদ-ভিত্তিক ভুল শিরোনামকে ভিত্তি করে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি বইটিকে এমনভাবে উদ্ধৃত করেন যেন এটি মুহাম্মদকে নৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ডে বিচার করে প্রথম স্থানে রেখেছে। অথচ “প্রভাবশালী” বলতে বোঝানো হয় যিনি ইতিহাসে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছেন – সেই প্রভাব ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি বলেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাহলে কি সেটার অর্থ তিনি নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ, আদর্শ মানুষ? এই বিভ্রান্তি দূর করা জরুরি। প্রভাবশালী হওয়া মানেই নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ হওয়া নয়। ইতিহাসে বহু ব্যক্তিই ছিলেন যাঁরা বিশাল প্রভাব ফেলেছেন, কিন্তু তাঁদের নৈতিকতা বা মানবিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই মাইকেল হার্টের তালিকাকে নৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ হিসেবে নবী মোহাম্মদকে দেখানো একটি ভুল যুক্তি।
এক নজরে দেখে নেই মুমিনদের শ্রেষ্ঠ মোহাম্মদের কী কী গুণ ছিলো যার কারনে খুব সাধারন একজন ভালো মানুষের চেয়ে তাকে পিছনে ফেলে দেয়া যায়। এগুলোর সবই প্রমান দেয়া যায়, কোরান, হাদীস, তরজমা, সিরাত থেকে। নীচের লিংকে আছে বিস্তারিত, আশা করি লিংকে ক্লিক করে মূল লেখাটা পড়ে নিবেন।
👇 নার্সিসিস্ট বা আত্মপ্রেমী ছিলেন নবী
— নবী নিজেকে ভালবাসতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন
— নিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন
— দরূদ না পড়লে অভিশাপ দিতেন নবী
👇 স্ববিরোধী কাজ করতেন নবী
— আলীকে দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন নবী
— মোহর ছাড়াই সঙ্গম করেছিলেন নবী
— কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব করেছিলেন নবী
— নবী মুহাম্মদ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছিলেন
— খাদ্য লোভী ছিলেন নবী
— মৃত্যু ভয়ে ভীত থাকতেন নবী
— যুদ্ধের ময়দানে ভীত হতেন নবী
👇 ভুল ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন নবী
— মদিনায় মহামারী প্রবেশ
— কেয়ামত কবে হবে
— পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়াই কথা বলা
— দাজ্জালের কোন চোখ কানা?
👇 কটুক্তি, গালাগালি, অভিশাপ এবং মিথ্যাচার
— বাপদাদার ধর্ম নিয়ে অবমাননা ও কটূক্তি
— গোটা সম্প্রদায়কে অভিশাপ দিতেন নবী
— প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী মিথ্যুক নবী
— মিথ্যা বলার অনুমতি প্রদান
— ধর্ম প্রচারের কাজে ঘুষ দিতেন নবী
— রেগে গেলে গালাগালি দিতেন নবী
— বাপের লিঙ্গ কামড়াতে বলেছেন নবী
— কাফেরদের গালি দিতেন নবী
— আবু আল-হাকামের নাম বিকৃতি করা
👇 গোত্রের নিন্দিত ব্যক্তি ছিলেন নবী
— পাগল বা উন্মাদ ডাকা হতো নবীকে
— মুজাম্মাম বলে ডাকা হতো নবীকে
— মুহাম্মদ ইবনে আবূ কাবশা
👇 কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী
— ঝাড়ফুকে বিশ্বাসী ছিলেন নবী
— জাদুটোনায় বিশ্বাস করতেন নবী
— জ্বীন ভুত ফেরেশতায় বিশ্বাস করতেন নবী
👇 মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত নবী
— মানসিক সমস্যা ছিল নবীর
— সাহাবীদের নিজের প্রস্রাব খাওয়ায় উৎসাহ দিতেন নবী
— দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেতেন নবী
— মুহাম্মদ আত্মহত্যাপ্রবণ ছিলেন
— জ্ঞান হারানো সমস্যা ছিল নবীর
— হ্যালুসিনেশন হতো নবীর
— জিব্রাইলকে একাই দেখতেন নবী
— অন্যের মুখে থুথু দিতেন নবী
— সাহাবীরা নবীর থুথু গায়ে মাখতো
— বাচ্চাদের নিজের থুথু খাওয়াতেন নবী
— অন্যকে কুলি করা পানি খাওয়াতেন নবী
— সংগীত অপছন্দ করতেন নবী
— ছবি আঁকা এবং চিত্রশিল্পীদের প্রতি বিদ্বেষ
— কৌতুক অপছন্দকারী, কান্নাকাটি পছন্দকারী
👇 অপরিচ্ছন্ন স্বভাবের ছিলেন নবী
— ঘরের মধ্যে প্রস্রাব করতেন নবী
— ঘরে পায়খানা করতেন নবী
— মাথায় উকুন ছিল নবীর
— মাসিকের কাপড়, মরা জীব জন্তু ফেললেও পানি পবিত্র বলেছেন
— মাছি পানিতে ডুবিয়ে খেতেন নবী
— খাবার পরে হাত চাটাতেন নবী
— এক গোছলে সেক্স ম্যারাথন
👇 বাজে বিচারক ছিলেন নবী
— সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিচার
— কাফেরকে খুন করলে ভিন্ন বিচার
— মানসিক রোগীকে হত্যা করতেন নবী
— চোরদের হাত কেটে দিতেন নবী
👇 নারীলোভী যৌনকাতর কামুক নবী
— নারীর প্রতি নবীর কোন লোভ ছিল না?
— বহুগামী ছিলেন নবী
— ৯ স্ত্রী থাকার পরেও দাসী সহবত করতেন নবী
— একই দিনে বা রাতে সেক্স ম্যারাথন
— রাস্তাঘাটে নারী দেখলে কামাতুর হয়ে যেতেন নবী
— ঋতুর সময়ও সহবাস করতেন নবী
— হেরেমখানা বানিয়েছিলেন নবী
— আয়িশা জানতেন নবীর লাম্পট্যের কথা
— ইচ্ছেমত ভোগের আগে মারা যাননি নবী
— মুত’আ বিবাহ করেছিলেন নবী
👇 ধর্ষণকারী ছিলেন নবী
— নারীর অনিচ্ছায় তার গায়ে হাত দেয়া
— দাসী ধর্ষণ করেছেন নবী
— শিশু ধর্ষণ করেছেন নবী
— যুদ্ধবন্দী নারী ধর্ষণ করেছেন নবী
— বৈবাহিক ধর্ষণের বৈধতা দিয়েছেন নবী
👇 নারীবিদ্বেষী ছিলেন নবী
— খুন হওয়া শিশুরা কোথায় যাবে?
— নারীকে ভোগ্যপণ্য বলেছেন নবী
— নারীই মানুষের সমস্ত দুর্দশার কারণ
— নারীদের বাঁকা বলেছেন নবী
— নারী অশুভ বা নারীতে অমঙ্গল রয়েছে
— নারী হচ্ছে বিপর্যয়কর
— নারী, গাধা এবং কালো কুকুর
— পুরুষের থেকে নারীর বুদ্ধি কম হয়
— নারীরা অধিক জাহান্নামী
— তিনজন ছাড়া সকল নারী অপূর্ণাঙ্গ
— নারীদের রাস্তার মাঝ দিয়ে চলা যাবে না
— অসুস্থতার কারণে বিবি তালাক দিয়েছিলেন নবী
— অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়ে বিয়ে এবং সহবাস
— বন্ধ্যা নারীদের বিয়ে করা যাবে না
— অল্পবয়সী কুমারী মেয়েদের বিয়ে করার পরামর্শ
— কুমারী মেয়েদের প্রতি আসক্তি
— কুমারীদের যোনীপথ উষ্ণ
— স্বামী সিজদার উপযুক্ত
— স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে বাধ্য
— স্বামীর চাহিবা মাত্র সহবত করতে হবে
— স্ত্রী নির্যাতন করতেন নবী
— পরপুরুষের সাথে স্ত্রীকে দেখলে কতল
— তালাক দেয়ার অধিকার স্বামীর
— তালাকপ্রাপ্তা নারী খোরপোষ পাবে না
— ধর্ষণ করার পরে মোহরানা দিয়ে ফয়সালা করা
— নারীর খৎনা করা
— নারী নেতৃত্ব দিতে পারবে না
— সুগন্ধী ব্যবহারকারীরা ব্যভিচারিণী
— সাজসজ্জা/সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি হারাম
👇 হিজড়া/ট্রান্সজেন্ডারদের ঘৃণা করতেন নবী
— হিজড়াদের ঘর থেকে বের করে দিতে হবে
— হিজড়াদের প্রতি অভিশাপ
— হোমোফোবিক বা সমকামী বিদ্বেষী
— প্রচণ্ড সাম্প্রদায়িক ছিলেন নবী
— ইহুদি বিদ্বেষী ছিলেন নবী
— নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতেন নবী
— রাস্তার কিনারায় ঠেলে দিতে হবে
— অমুসলিমদের খাবার দিতেও নিষেধ করেছেন নবী
— অমুসলিমদের সাথে বসবাস করা নিষেধ
— বিধর্মীদের মুর্তি ধ্বংস করতেন নবী
— মৃত্যুর আগেও শেষ ওয়াসিয়তেও সাম্প্রদায়িকতা
👇 সন্ত্রাসী, বর্বর, লুটেরা ছিলেন নবী
— যুদ্ধে ধোঁকাবাজী করতেন নবী
— সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতেন নবী
— মুহাম্মদ হচ্ছেন ত্রাস ও ভীতি সৃষ্টিকারী
— লুটপাটের মাধ্যমে ধনী হয়েছিলেন নবী
— লুটের মালের ২০% ভাগ নিতেন নবী
— জোরপূর্বক ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করতেন নবী
— নিষ্ঠুর এবং শারীরিক নির্যাতনকারী
— গালিদাতাকে নির্মমভাবে হত্যা
— লাশের সাথেও বর্বরতা
👇 দাস প্রথার সমর্থক ছিলেন নবী
— দাসদের মনিবের গোলামি করতে বলেছেন নবী
— দাসদের পালানো নিষিদ্ধ
— দাসকে প্রহার করায় হেসেছিলেন নবী
— হাদিয়া হিসেবে দাস নিতেন নবী
— মুক্ত দাসকে পুনরায় দাস বানানো
— দাস মুক্ত করার চাইতে দান করায় বেশি নেকী
— দাস মুক্তিতেও সাম্প্রদায়িকতা
— দাসের পালিয়ে যাওয়া কুফরি
👇 মানুষ খুন করতেন নবী
— গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে হত্যা
— ঘুমন্ত মুশরিককে হত্যা
— আসমা বিনতে মারওয়ানকে হত্যা
— শত্রুর কাটা মাথা দেখে খুশি হতেন নবী
— গণহত্যাকারী ছিলেন নবী
— ধর্মত্যাগীদের হত্যা করতেন নবী
— মুহাম্মদের জীবদ্দশাতে মুরতাদ হত্যা
— অতর্কিত আক্রমণকারী
— বন্দী মানুষকে হত্যা করা
👇 শিশুদের সাথে অমানবিকতা
— শিশু নির্যাতক ছিলেন নবী
— শিশু হত্যাকারী ছিলেন নবী
— শিশুকামী ছিলেন নবী
👇 নিষ্পাপ প্রাণী হত্যাকারী ছিলেন নবী
👇 গাছপালা ধ্বংস করতেন নবী
👇 আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছিলেন
— বিবাহের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিলেন নবী
আপনারা ইসলামের নবী মুহাম্মদকে “সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানুষ” বলে দাবি করেন – কিন্তু কোন মানদণ্ডে? মানবিকতা, নৈতিকতা, যুক্তিবোধ, বা ইতিহাসের আলোকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে মাঠে-ময়দানের বক্তাদের কথা, টিভি-ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটক-টুইটারের প্রচার নয়, বরং নিজে পড়তে হবে মূল ধর্মগ্রন্থগুলো। অন্যদের লেখা নয় – নিজে পড়ে দেখুন কোরান, হাদীস, সিরাত, তাফসির ও তরজমা। দেখুন সেখানে কী বলা হয়েছে, কী ঘটেছে, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি আপনি বিবেকবান হন, তাহলে আপনি নিজেই বারবার থমকে যাবেন – আপনার বিবেক প্রশ্ন তুলবে, দ্বিধায় ফেলবে, এবং হয়তো আপনাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। শ্রেষ্ঠত্বের দাবি শুধু আবেগ দিয়ে নয়, তথ্য, যুক্তি ও নৈতিক বিশ্লেষণ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। তাই আগে নিজে পড়ুন, বুঝুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন – আপনার বিবেক কি সত্যিই সেই শ্রেষ্ঠত্বকে সমর্থন করে?
আপনাদের জন্য একটা লেখার লিংক দিয়ে গেলাম। লেখাটিতে কোরান, হাদীস, তরজমা, সিরাত থেকেই রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। পড়ে দেখবেন, এরপরে সেখানে কি কি ভুল আছে লাইন বাই লাইন বলবেন আশা করি। ঢালাওভাবে বলবেন না দয়া করে।
Related Posts

What are the main obstacles to Bangladesh’s development?
Bangladesh is a promising country in South Asia, with significant growth in economic progress, humanRead More

বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান সমস্যাগুলো কী কী?
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ, যার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি এবং বৈশ্বিকRead More

What was the number of martyrs in the 1971 Liberation War?
The claim of 3 million martyrs is entirely unrealistic – there’s no logical basis toRead More
Comments are Closed