Covid-19
Loneliness can be harmful for the Covid-19 Patients

Loneliness can be harmful for the Covid-19 Patients

করোনা রোগীর দরকার আপনার মানসিক সাপোর্ট, তাকে একা করে দিবেন না

করোনা জীবানু অনেকের শরীরের যতটা না ক্ষতি করছে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করছে মানসিক ভারসাম্যহীনতা। আড্ডাপ্রিয় ও পারিবারিক স্পর্শে থাকা বাঙালি হঠাৎ আবিষ্কার করছে করোনা ধরা পড়লে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন সবাই দূরে সরে যাচ্ছে। এই ভদ্রলোকের কথাই চিন্তা করুন, জীবনে বিয়ে করেননি, তার সৎ ভাই তাকে দেখতে যাওয়ার বা খোঁজ নিতে অসম্মতি জানিয়েছে। হোক মা আলাদা কিন্তু বাবার রক্তের ধারা তো একই। দীর্ঘদিন ধরে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা বিশ্বের সেরা পারিবারিক, সামাজিক বন্ধনের অহংকার বাঙালির চুপসে গেল করোনার সময়ে। গতবছর কত কি দেখলাম। ছেলে-মেয়ে মা’কে ফেলে গেছে জঙ্গলে, বাবা-মা সন্তানের লাশ নেয় না। এই সামাজিক, পারিবারিক বন্ধন নিয়ে বাঙালির গর্বের সীমা নেই।

তবে মানবিক মানুষ সবখানেই আছে। আপনার বন্ধুদের ভিতরে, পরিবারের সদস্যদের ভিতরে, সবখানে। এমনকি অপরিচিত কারো মানবিক স্পর্শও আপনি পেতে পারেন। অনেক ডাক্তার, নার্স, সরকারী কর্মী, সামাজ সেবক, সমাজ কর্মী এখন পরিবার, বন্ধুদের চেয়েও অনেকের কাছে বড় আপনজন হয়ে দেখা দিচ্ছে।

আমার ক্ষেত্রে যেমন, আমার এক মেধাবী ডাক্তার ক্লাসমেট বন্ধুসহ অন্য দুইজন ক্লাসমেট বন্ধু তাদের পেশাগত ব্যস্ততার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন, পারিবারিক সাপোর্ট পেয়েছি, আগে থেকে চিনিনা এমন একজন হৃদয়বান ডাক্তারও তার নিজ তাগিদেই বলা যায় খোঁজ নিয়েছেন, উপদেশ দিয়েছেন। এগুলো একজন মানুষের জন্য বিরাট মানসিক সাপোর্ট দেয়, দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধের চেয়ে এগুলো বেশী কার্যকরী বলে আমার মনে হয়।


আজকের প্রথম আলোর একটি সংবাদঃ

মুগদা হাসপাতালে করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যা’

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের নিচে করোনায় আক্রান্ত এক রোগীর থেঁতলে যাওয়া লাশ পাওয়া গেছে। তিনি হাসপাতালের ১১ তলার একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশের ধারণা, তিনি হাসপাতাল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ওই ব্যক্তির নাম হাসিব ইকবাল (৫০)। রাজধানীর ইস্কাটনে বসবাস করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ৯ এপ্রিল থেকে হাসিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি অবিবাহিত। তার আত্মীয়স্বজনকেও তেমন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুরে এক সৎভাইয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মকবুল নামের তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের লাশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

ওসি জানান, হাসপাতালে হাসিবের বিছানায় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সম্ভবত সেটি তাঁর লেখা। চিরকুটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আত্মহননের পথ বেছে নিলাম। ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আমার দাফনের ব্যবস্থা করুন।’

Related Posts

Splitting of the Moon and Islamic Myth

ফেবু মুমিনদের সহজ সরলতা, কুযুক্তি ও শেষে চাপাতির কোপ !

ফেসবুকীয় মুমিন মানেই ‘ছাগল” অন্যকথায় ছাগু (ফেসবুক আবার তাদের সম্মানার্থে ছাগু সরাসরি লিখলে গোস্বা করেRead More

Religious Sentiments and Science Education in Bangladesh

ধর্মীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার পশ্চাৎযাত্রা

বাংলাদেশে সাইন্সের স্টুডেন্টদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সারাবছর বিজ্ঞানের জাহাজ মাথায় নিয়ে ঘুরবে, কিন্তু বিশ্বাস করবেRead More

C-Section and Evolution

সি সেকশান বা সিজারিয়ান প্রক্রিয়ায় বাচ্চা জন্মদানে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বলছে যে, মানুষ আর পথিবীর বুকে চরে বেড়ানো অন্যান্য বাদঁর কিংবা বন-মানুষেরা অনেকRead More

Comments are Closed