
Humanities during Pandemic
বীরের মৃত্যু সংখ্যাদিয়ে নয়, আত্মত্যাগের গভীরতা দিয়ে মাপতে হয়
পৃথিবী আজ করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে অনেকটাই ক্লান্ত । তবে কি মানুষ হেরে যাবে এক ক্ষুদ্র ভাইরাসের কাছে ? নারায়নগঞ্জে এক গিটারিস্ট মরে পড়ে ছিল রাস্তায়। তার কভিড ১৯ আছে কিনা নিশ্চিত নয়, কিন্তু তার বাবা মা পর্যন্ত ছেলের লাশ নেয়নি। সাত বছরের এক বাচ্চার সৎকারে কোন আত্নীয় স্বজন আসেনি। ভারতে ৪ কণ্যা বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে গেছে সৎকারের জন্য। কেউ আসেনি এগিয়ে। মানুষ এলাকায় হাসপাতাল করতে বাঁধা দিচ্ছে, গ্রামে লাশ নিতে দিচ্ছে না, কবরস্থানে নিতে বাঁধা দিচ্ছে।
করোনা সার্ভাইভার প্রিয় ভাইটি/বোনটি যখন বাড়ির সামনে দাঁড়ায় আমাদের এক নজর দেখবে বলে তখন কি মনে হয় যে, মানুষ আমরা হেরে যাব ? করোনা আক্রান্ত যে মা তার দুধের শিশুকে বুকে নিতে পারে না, করোনা আক্রান্ত যে বাবা তার শিশুকে কাঁছে নিতে পারে না তাদের অনুভূতির কাছে কি মানুষ হেরে যাবে ? মানুষ হেরে যাওয়ার নয়। লক্ষাধিক বছরের বিবর্তনে সারভাইবার এই মানুষ নামক প্রাণী এতো সহজে হারবার নয় ! নিকট অতীতেও প্লেগ, স্প্যালিশ ফ্লু, কলেরা, পোলিও, গুটি বসন্ত, ইবোলা, যক্ষা, সার্স, মার্স, বার্ড ফ্লু এর সাথে যুদ্ধ হয়েছে মানুষের এবং তা চলছেও। স্প্যানিশ ফ্লু এর পরে পৃথিবী ব্যাপী মহামারী এই করোনা, একশত বছরের ব্যাবধানে যা রুখতে মানুষ অনেকটাই দিশেহারা ! তবে হ্যাঁ, মনোবল আর সতর্কতাই আমাদের এ যুদ্ধে অনেকখানি জিতিয়ে দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মানুষ ঘুরে দাঁড়াবেই বিজ্ঞান আর মানবিকতার হাত ধরে , এ বিশ্বাস নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকবে দুর ভবিষ্যতেও।
এই সময়েও অনেকে তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। চাল চোর, গম চোরদের চেহারা দেখা যায় প্রকাশ্যে। মহামারি সহানুভূতিকেও হত্যা করে। সমাজ চুপসে যায়। প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে নিজেরটাও পুড়তে পারে। তেমনি লোকালয়, সমাজ ও প্রতিবেশীর সুস্থতাই আজ আমার-তোমার সুস্থতার শর্ত। চোরেরা এই কথাগুলো ভুলে যায়। যেখানে ব্রিটিশ রাজপূত্র, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ইরানের উচ্চ ধর্মীয় নেতা, সৌদি রাজপরিবারের ১৫০ জন সদস্যসহ বিশ্বের সব বড় বড় রথী মহারথীরাও আক্রান্ত তখন আমাদের দেশের কিছু কুত্তাছানা নিশ্চিন্তে চুরিতে লিপ্ত, শ্রমিকদের জীবনকে মৃত্যুকূপে ঠেলে দিয়ে ভাবছে নিজেরা বেঁচে যাবে।
তবুও বিজ্ঞানী, গবেষক, ডাক্তার, পুলিশসহ অনেকে কাজ করছে মানুষকে বাঁচানোর জন্য। অনেকে এই যুদ্ধে মারা যাচ্ছেন অন্যদের বাঁচানোর জন্য। বিশ্বের যে প্রান্তের যে বীর সৈনিকটিই মারা যাক তিনি সমস্ত মানব প্রজাতির জন্য অহংকার হয়ে থাকবেন। বীরের মৃত্যু সংখ্যাদিয়ে নয়, আত্মত্যাগের গভীরতা দিয়ে মাপতে হবে।
[ এর মধ্যেও কিছু বিনা পূঁজির ব্যবসায়ীদের ব্যবসার প্রসার থেমে নেই। তামিলনাড়ুতে গত ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট কভিড ১৯ রোগী ছিল ৬৯০ জন যার মধ্যে ৬৩৬ জনই ছিল তাবলিগের। আপনি যদি এখন এই ব্যবসায়ীদের দোষ দেন তবে মাথার মগজ গোবর দ্বারা রিপ্লেস করা অনেক মানুষ আপনার দিকে তেড়ে আসবে ]
Related Posts

Are religion, country, race, patriotism, and nationalism all racist concepts?
The only uncontacted human tribe left in the world today are the Sentinelese of NorthRead More

ধর্ম, দেশ, জাতি, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ সবই কি বর্ণবাদী কনসেপ্ট?
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত একমাত্র আন কন্টাক্টেড মনুষ্য প্রজাতি আমাদের বঙ্গোপসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের সেন্টিনেলীরা। তারাRead More

Durga or Mahishasura – who is the true hero of the mythological legend?
Bhagura (Indian extremist goat – Indian Shit) have, in 2025, created a Mahishasura effigy inRead More
Comments are Closed