
Human Behavior
সত্যিকারের পরোপকার একটা নেশা, যাদের এটা থাকে তারা মানুষের পাশে এমনিতেই দাঁড়ায়
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সকে দায়িত্ব পালনের জন্য হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নার্সের প্রতিবেশীরা বাড়ির ফটকে ধাক্কাধাক্কি করে ও উচ্চ স্বরে কথা বলে শাসিয়ে গেছেন। এক বছরের শিশু সন্তান নিয়ে তিনি এখন পড়েছেন বিপাকে।
একটা জাতি সামগ্রিকভাবে এত অমানবিক, দূর্নীতিপরায়ন, চোর, বাটপাড় হয় কি করে ? সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের চরিত্র এটা। মাঝে মাঝে মনে হয় করোনাভাইরাসের মত মহামারি, ভূমিকম্প বা অন্য কোন দূর্যোগে এদের কোন সাহায্য পাওয়ার অধিকার নেই। অসভ্য, অশিক্ষিত, বর্বর মানুষদের দেশ একটা।
করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও সামাজিকভাবে একঘরে করে দেয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই চারিদিকে, আবার কেউ আক্রান্ত হলে তাকে সামাজিকভাবে সহানুভূতি, নৈতিক সহযোগীতা না দিয়ে এলাকাছাড়া করার পায়তারা চালাচ্ছে মানুষ। আবার এরাই বিশ্বাস করে সংক্রামক রোগ বলে আসলে কিছু নেই, এটা যার হবে সেটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। কি স্বার্থপর, অকৃতজ্ঞ মানুষ সব ! এই যে সামাজিকভাবে মানুষকে হেয় করা হচ্ছে, দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাতে করে রোগীরা টেস্ট করছে না, সামাজিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার ভয়ে অনেকে করোনার লক্ষন থাকলেও প্রকাশ করছে না। এটা যে কমিউনিটিতে কত ব্যাপক মাত্রায় রোগটি ছড়াবে তার ধারনা এই ইডিয়টদের নেই।
ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠী সবসময়ই অমানবিক, বর্বর, ইতর, অসভ্য, দূর্নীতিপরায়ন হয়। ধর্মান্ধ সমাজে শিশুরা ছোট থেকেই ঘৃনা শেখে, স্বার্থপরতা শেখে – যে বৃত্ত আর কখনো তারা ভাংতে পারে না। বিশ্বজুড়ে সবখানে যখন মানবতার জয় হচ্ছে তখন ধর্মান্ধ ভারত, বাংলাদেশের মত দেশে একের পর এক অমানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে।
কি গ্রাম – কি শহর, কি নিম্নবিত্ত – কি উচ্চবিত্ত সবাই সুযোগের সন্ধানে থাকে। আজ যারা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে, আমরা তাদের জন্য কষ্ট পেয়ে দিনাতিপাত করছি, ঠিক সেই তারাই একবস্তা ত্রাণ পেলে একাই সব কুক্ষিগত করার চেষ্টা করবে, তার সমগোত্রীয় অন্যদের ভাগ মেরে দিতে দ্বিধা করবে না। সুযোগ পেলে অন্যদের ক্ষতি করে হলেও তারা তাদের স্বার্থপরতা দেখাতে পারে। কঠিন শোনালেও এটাই নির্মম বাস্তবতা এখানে।
একটা বড় অংশ মানুষ অন্য মানুষের উপকার করতে চায় তাদের নিজেদের স্বার্থে। তাদের উদ্দেশ্য থাকে ভোট পাবে, মানুষের বাহবা পাবে, ছবি দেখিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা পাবে, মরার পর স্বর্গ পাবে, সেখানে সুন্দরী অপ্সরী পাবে অনেক। মন থেকে, নিজের ভাল লাগার জন্য সাহায্য করার মানুষ খুব কমই আছে এ অঞ্চলে। আবার অন্যদিকে অনেক ধার্মিক ব্যক্তি যারা ব্যক্তিজীবনে ধর্মপরায়ন তারা অনেকে এখন অনন্য নজির স্থাপন করছেন, এরা কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। মৃতের স্বজনরা যখন লাশের কাছ ঘেষে না তখন তারা মৃত ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ দাফনের দায়িত্ব নেন। খোঁজ নিলে দেখবেন আদতে তাদের জেনেটিক বৈশিষ্ঠ্যের সঙ্গে পরোপকার যুক্ত আছে, মরার পরে কোন কিছুর প্রাপ্তি না থাকলেও তারা এই কাজ করতেন। সত্যিকারের পরোপকার একটা নেশা, যাদের এটা থাকে তারা মানুষের পাশে এমনিতেই দাঁড়ায়। অন্যদিকে যারা এতদিন বলেছে সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, বাংলাদেশে করোনা আসবে না, তাদের ২/৩ গুন পিপিই পরিয়ে এখন বেঁধেও নিয়ে আসতে পারবেন না লোকালয়ে। আর যাদের জেনেটিক কোডে অমানবিকতা লুকানো তারা সমাজে ভাল ভাল বাৎচিৎ করলেও প্রকৃতভাবে এক একজন পটেনশিয়াল ক্রিমিনাল।
Related Posts

What are the main obstacles to Bangladesh’s development?
Bangladesh is a promising country in South Asia, with significant growth in economic progress, humanRead More

বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান সমস্যাগুলো কী কী?
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ, যার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি এবং বৈশ্বিকRead More

What was the number of martyrs in the 1971 Liberation War?
The claim of 3 million martyrs is entirely unrealistic – there’s no logical basis toRead More
Comments are Closed