Can religion change the society ?
ধর্মীয় শিক্ষা কি সমাজের অরাজকতা দূর করতে পারে ? সত্যি ?
ধর্ষণ, আরাজকতা, দূর্নীতি, বদমায়েশি, লাম্পট্য, চুরি, ছ্যাবলামি এসব থেকে মুক্তির জন্য অনেকে সহজ সবক দেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার, ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারের। ভাই সহজ কথা বোঝেন, হাজার হাজার বছর ধরে চর্চিত হওয়ার পরও ধর্ম কি পেরেছে এই সমস্ত অনাচার, অন্যায় রুখে দিতে ? পারেনি। বিশ্বের সেই দেশগুলোতেই মানুষ সবচেয়ে বেশী সুখে শান্তিতে আছে যেখানে ধর্মীয় বাড়াবাড়ি ও ধর্মীয় চর্চা নেই বললেই চলে যেমনঃ নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, সুইজারলান্ড, জার্মানি, জাপান। এরা কিভাবে পেরেছে ? ওরা প্রত্যেক শিশুকে তার শৈশবে একটি সুন্দর পরিবেশ দিতে পেরেছে যা নৈতিক শিক্ষা, মুল্যবোধ, ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে সহশিক্ষা, সঠিক যৌন শিক্ষা এসব উপাদান নিয়ে থাকে। এতে করে ওদের মাথায় গেঁথে যায় সকল মানুষ সমান, নারী-পুরুষ সবাই মানুষ। ওসব দেশে আলাদা করে কোন গার্লস, বয়েজ স্কুল থাকে না।
সভ্য দেশের মানুষের কাজ থাকে মাথায় আর ধো… থাকে ভো…য়, আমাদের দেশে কাজ থাকে ভো…য় আর ধো… থাকে মাথায়। একটি সটিক ও উপযুক্ত শিশু শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া রাতারাতি এ দূর্দশা পরিবর্তন করা সম্ভব না। এখনকার শিশুদের একটি সুন্দর ও উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে ওদের জেনারেশান থেকে দেশে পরিবর্তন আসবে। এত এত ক্রসফায়ার স্বত্তেও কি মাদক, গুম, অপহরন, ধর্ষণ কমেছে ? ধর্ষণ যতটা না যৌন তাড়না তার চেয়ে বেশী দূর্বল নারীর উপর পুরুষের শক্তির প্রয়োগ। ধর্ষণ হলো শক্তি ও ক্রোধের যৌন বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ২/৫ মিনিটের যৌনতার জন্যই শুধু একজন মানুষ এতটা নীচে নামে না। জবরদস্তিমূলক যৌনকার্যের প্ররোচনা কোনভাবেই যৌন চাহিদা থেকে আসে না, এটা আসে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা থেকে। ধর্ষণ করে ধর্ষক একটা পৈশাচিক আনন্দ পায় যা তাকে শক্তিমান হিসাবে তুষ্ট করে।
আমরা সবসময় ধর্মীয় শিক্ষার অভাব অভাব করে প্রকৃত ও সুস্থ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করি। গত ২/৩ দিন যাবৎ কয়েকজন মানুষের সঙ্গে মিটিং করতে হয়েছে। এর মধ্যে সবারই মুখ ভর্তি দাঁড়ি, একজন বাদে অন্য সবাই মাথায় টুপি দিয়ে থাকে। অথচ তাদের সবাই ছ্যাছড়া টাইপের ক্রিমিনাল। একজন একটু সুযোগ পেলে তাকে বিশ্বাস করা অন্যদের ঠকাতে চিন্তা করে না। এম এল এমের মত হাজার হাজার মানুষ ঠকানোর জন্য তারা আইটি সল্যুশান চায় কেউ, আবার কেউ বড় এক ডাটাবেজ হ্যাক করতে চায়। অবৈধ, অনৈতিক টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া করে। কথায় কথায় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয় মুখে, বিশ্বাস করুন এদের নামাজ, রোজাসহ ধর্মীয় অনুগত্য নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। আমি যদি সরল অংকের হিসাবে যাই তাহলে কি দেখি ৭ জন মানুষের মধ্যে ৭ জন ক্রিমিনাল, সুরতাং.১০০ জন মানুষের মধ্যে … । আগে নাটক সিনেমায় ভিলেন হিসাবে যাদের দেখানো হতো যুগের পর যুগ তাদের বেশভূষা ও উপস্থাপনা ঠিকই ছিলো। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি।
ব্যাকপ্যাকার্স টুরিস্টরা খরচ বাঁচানোর জন্য সাধারনত ভ্রমনে বের হলে হোস্টেলে থাকে, হোটেলে নয়। হোস্টেলে এক রুমে উপরে নীচে অনেকেই থাকে। সেখানে ভিনদেশী, ভিনভাষী ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে থাকে। মেয়েরা হাফ প্যান্ট পরা থাকে। নাইট ড্রেস পরে ঘুমায়। এমন শোনা যায় না সেখানে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, ধর্ষণ তো বহুদূর। তাইওয়ানের একজন স্কুল শিক্ষক তরুণী, চায়নার কয়েকজন ছাত্রী আমাদের একই হোটেলে ছিলো। ট্যুর মেটও। একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, ঘুরেছি। কখনো তাদেরকে তেতুল মনে হয়নি। হাফপ্যান্টের দিকে তাকানোর চিন্তাও আসেনি। একজন মানুষই মনে হয়েছে তাদের। আমার দিলের মধ্যে তো লালা ঝরেনি। অদ্ভুত এক সমাজে আমরা বাস করি যেখানে মেয়েদের সাজ পোশাক কে দায়ী করা হয় ধর্ষণের জন্য। আমাদের পাশের দেশ মায়ানমারের সাবেক রাজধানী ইয়াংগুনের হাফপ্যান্ট পরা মেয়েরাও রাত বিরাতে কাজ থেকে ফেরে। ওদের শহর পরিচ্ছন্ন। এক আরাকান বাদ দিলে সভ্যতা, সততা, ভব্যতায় পাশের দরিদ্র দেশ বার্মার হাটুঁর নীচে আমদের এই দেশ। সত্য তিতা হলেও তা সঠিক। এই ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ
আমাদের দেশের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এখনি যেনো ১/২ জেনারেশন পরে পরিবর্তনের দেখা পাওয়া যায়। এজন্য দরকার শিশুদের জন্য সুন্দর ও সঠিক শিক্ষা। ৫ টা ফ্লাইওভার, ৩ টা পদ্মাব্রীজের চেয়ে এই সঠিক শিশু শিক্ষা বেশী জরুরী।
সময় পেলে এই লেখাটা একটু পড়ে দেখবেন। বেশ বড় লেখা যদিও।
Related Posts
এই ধর্মীয় উন্মাদনা এখনি থামাতে হবে, সভ্যতার পথে হাঁটুন
বাংলাদেশের সমাজটা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে বিগত ২০/৩০ বছরে। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে জঘন্য অনুঘটক ছিলRead More
Under the cover of development, the real image of India, Pakistan, and Bangladesh
India has sent a spacecraft to the moon and successfully landed there. There is noRead More
উন্নয়নের আড়ালে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের প্রকৃত করুন চিত্র
ভারত চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছে এবং সেটা সেখানে সফল অবতরণও করেছে। ভারতের এতে গর্বের সীমা নেই,Read More
Comments are Closed