
Science and Innovation
বিজ্ঞানের পথ কখনো মসৃন ছিল না, অন্ধকারের শক্তি বরাবরই প্রতিপক্ষ হয়েছে
বিজ্ঞানের পথ কখনো মসৃন ছিল না। পৃথিবীর কল্যাণে বিজ্ঞান গবেষণায় কারো কোন ক্ষতি নেই, তবু্ও সবসময় একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গেছে বিজ্ঞানের বিরোধীতায়, তাদের অন্ধকার নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলবে বলে। রাজশক্তি প্রায় সব ক্ষেত্রেই সেই অন্ধকারকেই প্রশ্রয় দিয়েছে। সভ্যতা গড়েছে বিজ্ঞান কিন্তু অন্ধকারের কান্ডারীরা বরাবরই টেনে ধরেছে সে যাত্রা। সেই অন্ধকারকে তুলে ধরে আজো বড় বড় লেকচার ঝাড়ে অনেকে। অমুক আমাদের, তমুক আমাদের বলে গর্ব করে।
মুসা আল খারিজমি নামের যে লোকটি এলজেব্রা বা আধুনিক বীজগণিতের জনক, আল রাজি নামের যে চিকিৎসক প্রথম প্লাস্টার কাস্ট আবিস্কার করলেন তাঁরা আদৌ কি কোন কান্ডারী গ্রুপে ছিলেন ? ইবনে সিনা থেকে ওমর খৈয়াম কেউই সেভাবে কান্ডারী ছিলেন না, ইবনে সিনা যে ‘আল কানুন’ নামের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেলটি লিখেছেন সেটি লিখতেও তাকে করব খুঁড়ে রাতের বেলা লাশ চুরি করতে হয়েছে, নাস্তিকতার অভিযোগে ইস্পাহান জেলেও থাকা লেগেছে ! মানে ইবনে সিনাকেও তখনকার কান্ডারীরা নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে জেলে ভরেছে। ইবনে রুশদকে জেলে পঁচতে হয়েছে, নির্বাসনে যেতে হয়েছে স্বেচ্ছায়, রাজকীয় ফরমানে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তার সব রচনা ! তারা কেউ কান্ডারী ছিলেন না, মরার পরে ট্যাগ পেয়েছেন। কোনরকম কোন সহযোগীতা না করেও আজ সেই অসহযোগীরা কত কি দাবী করে এই বিজ্ঞানীদের নিয়ে।
জিওর্দানো ব্রুনো, হাইপেশিয়াকে ঠিক একই অপরাধে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, গ্যালিলিওকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে, সক্রেটিসের হাতে উঠেছে হেমলকের পেয়ালা। যে ডারউইনকে বাবা-মা বিজ্ঞানের ঐতিহাসিক অসহযোগীদের কান্ডারী হতে জাহাজে তুলে দিয়েছিলেন, তিনিই জীবের বিবর্তন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাড়া জাগানো বইটি লিখেছেন – অরিজিন অব স্পেসিস বাই দ্যা মিন্স অফ ন্যাচারাল সিলেকশন। এরা কি আদতে কোনো কান্ডারী ছিলেন ? কেউ ছিলেন না। আইনস্টাইন, হকিং সবাই শুধুই বিজ্ঞানী। তাদের আর কোন ট্যাগ নেই।
নোবেল পাওয়া পদার্থবিজ্ঞনী আব্দুস সালাম, তার নিজ দেশেই তাকে অসহযোগীরা অন্যদলের বলে চালান দেয়। এমন শত শত বাঁধার উদাহরন আছে বিজ্ঞান প্রসার, প্রচার, বিস্তারের পথে। অথচ এই বিজ্ঞানের সুবিধাভোগী সবাই, সব মানুষ।
Related Posts

কেন মক্কা ও কাবা শরীফের উপর দিয়ে কোন পাখি ও বিমান উড়ে না ?
পৃথিবীর এমন কিছু শহর, স্থান আছে যার উপর দিয়ে কোন এরোপ্লেন উড়ে না। অনেকে কিছুRead More

বিজ্ঞান হোক আনন্দের উৎস। বিজ্ঞান পৌঁছে যাক ঘরে ঘরে
অন্য সকল মহাকাব্যের মতই বিজ্ঞানের গল্পও শুরু হয় “সে অনেককাল আগের কথা” দিয়ে। সেই প্রাচীনকালে,Read More

বাংলা ভাষায় এখন সবচেয়ে বেশী দরকার বিজ্ঞানের গল্প শোনানো ও শোনার অনেক মানুষ
বাংলা ভাষায় যে জিনিসটি সবচেয়ে অপ্রতুল সেটা হলো সহজ ভাষায় শিশুদের ও মানুষকে বিজ্ঞানের গল্পRead More
Comments are Closed