
Love will always win over hate
ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ যুদ্ধের বড় অন্তরায়
Darkness cannot drive out darkness; only light can do that. Hate cannot drive out hate; only love can do that.
বিশ্বের এ চরম বিপদের দিনে দেশের ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের দোকান টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কিছু অন্ধ মানুষকে উস্কে দিচ্ছে। মাঠে, ময়দানে, ফেসবুকে, লিফলেটে কোথায় নেই তাদের প্রচারনা। গ্রামের সহজ সরল মানুষ, শহরের শিক্ষিত নামধারী অনেক মূর্খ এদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে মহামারিকে ডেকে নিয়ে আসছে। গ্রামে, শহরে অসংখ্য মানুষ এখনো মনে করছে এই ভাইরাস আসলে কিছু না, এটা গুজব। এটা মুসলিমদের কোন ক্ষতি করবে না। মানুষ কতটা জঘন্য হলে বিশ্বের সকল মানুষের এ বিপদের দিনে ধর্ম টেনে ঘৃনা ছড়াচ্ছে। ছোঁয়াছে বা সংক্রামক ব্যাধি বলে নাকি কিছু নেই দুনিয়ায়! চীন, ইতালীতে কাফের মারা যাওয়ায় উল্লাস করছে। ইরান, সৌদি আরবেও মরছে। মালয়েশিয়া সরকার ঘোষনা দিয়ে বলেছে তাদের দেশে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়েছে মসজিদ থেকে। সৌদি আরব, ইরানের মতো দেশ তাদের উপাসনালয় আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। সৌদি আরবের উচ্চ উলামা পরিষদ ঘোষনা দিয়েছে এই সময়ে দেশের সরকার বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আর এরা মানবতার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নিচ্ছে।
মিরপুরে যে দুইজন মারা গেলেন তারা ছিলেন প্রতিবেশী। তাদের কেউ বিদেশ থেকে আসেননি। তাদের একজন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল ও মসজিদ কমিটির সভাপতি, অন্যজন মসজিদের পরিচালক। ইরানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন ধর্মীয় নেতাও মারা গেলেন যিনি প্রথমদিকে বলেছিলেন করোনাভাইরাস কাফেরদের জন্য গজব।
মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখতে শিখবে কবে এরা ? চীনেও মরছে যারা তারা মানুষ, ইতালীতেও যারা মরছে তারাও আমার আপনার মতো রক্ত মাংসের মানুষ। ইরানে যারা মরছে তারাও মানুষ। যারা সীমাহীন দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে তারাও মানুষ। এখানে ধর্ম টেনে, দেশ টেনে, জাতি, গোত্র টেনে ভেদাভেদ করে কারা ? যারা খুব নিকৃষ্ট মানুষ তারা। অন্য কোন একটি অঞ্চলের উদাহরন দেখান যারা এভাবে ভেদ তৈরি করছে মানুষ প্রজাতির সঙ্গে ভাইরাসের এই যুদ্ধে। বিশ্বের মানুষ এতোদিন নিজেরা নিজেরা অনেক যুদ্ধ করেছে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বা অধিকার হরন করতে। এখন চলছে একটি প্রকৃত যুদ্ধ যেখানে মানব প্রজাতিকে জয়ী হতে হবে।

আমেরিকা, ইউরোপজুড়ে ৩০ টিরও বেশী উদ্যোগ চলছে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তার পরীক্ষা নিয়ে। আমেরিকার একটা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে ট্রায়াল শুরু করেছে, পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন স্বেচ্ছায় তাদের শরীরে সে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যারা নিয়েছেন তারা জানেন এতে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বা বড় কোন ক্ষতিও হতে পারে। তবুও পৃথিবীর মানুষের কথা ভেবে তারা এই পরীক্ষায় সহযোগীতা করছেন। এখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারকরা বা পরীক্ষায় সহযোগীতা করছে যারা তারা কি বলবেন বাংলাদেশে যারা তাদের মৃত্যু কামনা করেছেন প্রতিদিন তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন হবেনা ? তারাও বলবেন না আর সময় হলে এই ঘৃনাচাষীরাও ইহুদী নাসারার আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন নিবেন। অসুস্থ হলে তাদের আবিষ্কৃত ওষুধও খাবেন।
মূল কথা হলো এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ হওয়ার ভয়ে আছে। বিনা পুঁজির এমন ব্যবসা আর কিছুতে তো নেই। শুধু যে বাংলাদেশে তা নয়, ভারতেও আছে গরুর মুত খাওয়া গোষ্ঠী। তারাও মানুষকে বিভ্রান্ত করছে নানান কথা বলে।
তবে মনে রাখবেন, দিনশেষে মানবতার জয় হবে, বিজ্ঞান মানুষকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী করবে। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ দেখিয়ে দিবে ঘৃনা নয়, ভালবাসার শক্তিতেই আমরা এগিয়ে চলবো।
Related Posts

১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন – বি এন পি যেভাবে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছিল
২০২৪ এর ঐতিহাসিক গণ-অভভুত্থানের আগে ১৯৯০ সালে ছাত্র জনতার ত্যাগের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র বিকাশের যেRead More

This Religious Frenzy Must End Now – Walk the Path of Civilization
Bangladesh’s society has changed dramatically over the past 20–30 years. One of the most destructiveRead More

স্বৈরাচার যখন দানব হয়ে যায় তখন মানুষের লাশের গন্ধ তাদের কাছে প্রিয় হয়
আমি আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের কমিটির কখনোই কেউ ছিলাম না, এখনো নেই। আওয়ামী লীগ বাRead More
Comments are Closed