Humane First Movement
মানুষ হওয়ার জন্য মানুষ্যত্ব শিক্ষাটাই জরুরী, অন্যকিছু নয়
নেদারল্যান্ডস, ১ কোটি ৭১ লাখ মানুষের দেশে ২০১৬ সালে জেলে কয়েদি ছিল মাত্র ১৯ জন। সেই হিসাবে বাংলদেশে ছিচকে চোর, ছ্যাচ্ছড় সহ অপরাধী কয়েদি থাকার কথা ১৮৫ জন। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে দেশের সব ছোট অপরাধ থেকে বড় বড় অপরাধ, দূর্ণীতি, লুটপাট, হয়রানি, প্রতারনা আমলে নিলে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক মানুষই জেলে যাওয়ার উপযুক্ত হতে পারে, কম করে হলেও ১ কোটি তো হবেই।
২ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ তে এসে নেদারল্যান্ডস এর জেলে কয়েদির সংখ্যা দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। এখনও সেই অবস্থা বিরাজমান। ভূ’তুড়ে নীরবতা যেন ভর করেছে কয়েদিশূন্য কারাগারগুলোতে। কারা প্রশাসনের অধীনে মোট ২ হাজার কর্মচারী ছিল। তবে কয়েদি কমতে থাকায় তাদের মধ্য থেকে ৭০০ জনকে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করা হয়। কিন্তু কয়েদিসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় এখন বাদবাকি ১ হাজার ৩০০ জনের চাকরিও শ’ঙ্কার মুখে পড়েছে। নেদারল্যান্ডস সরকার তাদের জন্য অন্যান্য দপ্তরে চাকরির তালাশ করছে।
প্রসঙ্গত, দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতিচর্চা, রাষ্ট্রব্যবস্থাই নাগরিকদের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে সাহায্য করেছে দীর্ঘদিন ধরে। শতকরা ৬৭.৮ ভাগ নাগরিক ধর্মে অনাগ্রহী এবং নাস্তিকতায় বিশ্বাসী। ২৪.৪ ভাগ খ্রিস্টান যাদের অধিকাংশ আবার নামকাওয়াস্তে, ৫.৮ ভাগ ইসলাম এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি ও বাহাইসহ অন্যান্য ২ ভাগ। ধর্মহীনদের প্রাধান্য বেশি হওয়ায় নেদারল্যান্ডে মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহি’ষ্ণুতা, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির চর্চাটা পোক্ত। যার ফলে অপরাধ প্রবণতা এখানে নেই বললেই চলে।
Comments are Closed