হিজাব কি নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পারে ?
হিজাবের ব্যাপক প্রসারও বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমাতে পারেনি
আপনি যদি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে প্রাচীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ১৯৬০ থকে ৯০ এর দশকের ছবি দেখেন ও বর্তমান সময়ের ছবি দেখেন তবে আপনার চোখে একটি বিষয় প্রকটভাবে ধরা দিবে, সেটি হলো ‘হিজাব’। এক সময়ে যা মেয়েদের পোশাকে খুব কদাচিৎ দেখা যেতো এখন তার অনেক বেশী প্রসার ঘটেছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে অনেক ধর্মীয় নেতা ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ধর্মীয় পোশাক এই হিজাবকে মেয়েদের রক্ষাকবচ মনে করে থাকেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো অনেক দেশে অনেকে মনে করে থাকেন মেয়েদের সংক্ষিপ্ত পোশাক পুরুষকে নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ইভ টিজিং ও ধর্ষণ করতে প্ররোচিত করে। সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশে এগুলো তারা প্রচারও করে। সোস্যাল মিডিয়াতেও তাদের প্রচারনা চোখে পড়ার মতো। এর জের ধরে বিগত ২/৩ দশকে এই দেশে মেয়েদের মধ্যে হিজাব পরার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় নির্দেশনার পাশাপাশি যেটাকে হিজাবের ফলাফল হিসাবে দেখানো হয় – সেই নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এসব কি আসলেই কমেছে ? প্রতিদিনের সংবাদপত্র ও নানা পরিসংখ্যান সেটা বলে না। বরং দেখা যায় ৬ মাসের শিশুকণ্যা থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষকদের হাত থেকে রেহায় পায় না। সুতরাং হিজাবের ব্যাপক প্রসারও এই দেশের সমাজ থেকে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এসব কমাতে পারেনি।
যুগের সাথে ও পরিবেশের ভিন্নতার কারনে পোশাকের বিবর্তন হয়েছে যার সঙ্গে নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের কোন যোগসূত্র নেই। যুগে যুগে পোশাকের ধরনে পরিবর্তন এসেছে৷ আদিমকালে ছিল পশুর চামড়া, গাছের ছাল আর এখন রয়েছে নানা ধরনের পোশাক। বর্তমানে দেশ, সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, কাজের ধরন, অনুষ্ঠান, পছন্দ ও ফ্যাশানের ভিত্তিতে বহু ধরনের পোশাক পরে থাকেন নারীরা। তাপমাত্রা, আদ্রতা, সহনশীলতা, নান্দনিকতা এমন অনেক কারনে নারীরা তাদের পছন্দের পোশাক পরে থাকেন। এর মানে এই না যে ছোট পোশাক পরলেই নিপীড়ক বা ধর্ষককে প্ররোচিত করা হয়। মেয়েদের চেহারা, উন্মুক্ত ত্বক দেখে ধর্ষক পুরুষের যৌনতাড়না জাগে ? কারো এটা মনে হতে পারে কিন্তু অপরাধবিজ্ঞান সেটা বলে না। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ হলো একজন নির্যাতক বা ধর্ষকের পৈশাচিক শক্তি প্রদর্শন ও তাতে তার নিজের আত্মতুষ্ঠির ফল। এজন্য ধর্ষকের কাছে ৬ মাসের শিশু থেকে ৯৯ বছরের বৃদ্ধা, পশ্চিমা স্বল্প পোশাকের নারী থেকে আফগানি স্টাইল পুরোটা ঢাকা কোন মহিলাই বাদ যায় না। পুরুষের সেক্সের কামনা জাগায় যে হরমোন তার নাম টেস্টোস্টেরন। গবেষনায় দেখা গেছে রেপিস্টদের প্রায় সবার এই টেস্টোস্টেরন প্রয়োজনের তুলনায় কম। যাকে সহজ বাংলায় বলে ধ্বজভঙ্গ, যৌন জীবন নিয়ে তারা বরং হতাশ। সুতরাং কোন যৌন তাড়না থেকে বা কারো প্ররোচনা থেকে কেউ ধর্ষণ করেনা। ২/৪ মিনিটের জোর জবরদস্থিকে আর যাই হোক সেক্সুয়াল কাজ বলা যায় না, সেক্স যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশী মানসিক প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে।
শরীর প্রদর্শন মানেই ধর্ষককে আমন্ত্রণ নয়, কেউ হিজাব পরলেই কি আর না পরলেই কি, ধর্ষণের জন্য ভিকটিম ব্লেইমিং খুব নিকৃষ্ট একটা প্রথা। ভারতে বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলায় দেখা গেছে, ধর্ষিতা সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি পরেছিলেন৷ অর্থাৎ যাকে বলা হয় ভারতীয় নারীর আদর্শ পোশাক, সে ধরনের পোশাকই তাঁরা পরেছিলেন৷ অর্থাৎ এ জরিপ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, শরীর প্রদর্শন না করে বা তথাকথিত ‘আধুনিক’ পোশাক না পরেও শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ Sadistic রেপিস্টরা যৌন আনন্দ লাভ করার জন্য রেইপ করেনা। সে রেইপ করে ভিকটিমকে টর্চার করার জন্য। সে মূলত ভিকটিমের সাফারিং / যন্ত্রনা / হিউমিলিয়েশান উপভোগ করে। এই ধরনের রেপিস্টরা অধিকাংশক্ষেত্রেই তাদের ভিকটিমকে ধর্ষনের পরে হত্যা করে ফেলে বা চড়ম যন্ত্রনা যেমন সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়া বা হাত পা, স্তন, যোনীপথ কেটে ফেলা এইসব করে আনন্দ লাভ করে। তবে এরকম Sadistic রেপিস্ট এর সংখ্যা পৃথিবীর মোট রেপিস্টদের মাত্র ৪ বা ৫ শতাংশ। হরর মুভিতে বা রিভেঞ্জ মুভিতে এই ধরনের রেপিস্টদের বেশী বেশী দেখানো হয় বলে সাধারণভাবে মানুষ মনে করে রেপিস্ট মাত্রই স্যাডিস্টিক রেপিস্ট। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটা একটা ধারনা অনেকের।
নারী নির্যাতনকে অনেকে নারীদের দাবিয়ে রাখার হাতিয়ার মনে করেন, সেখানে পোশাক কোন বিষয় নয়। রাস্তা, অফিস বা যে কোনো পাবলিক প্লেসে পুরুষের যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হওয়ায় নারীদের দাবিয়ে রাখতে পুরুষরা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে৷ নারীর পোশাকের স্বাধীনতা বা জোর করে বিশেষ কোন পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে কিনা বা সে সেই বিশেষ পোশাক পরছে কিনা সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বেশীরভাগ – প্রায় ৭৫% রেপিস্টরাই হচ্ছে Power Reassurance টাইপের। এরা মুলত নিজের ম্যাসকুলিনিটি বা পৌরুষ নিয়ে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা socially awakward হয়, চার্মিং পারসোনালিটির অভাবে বা অন্য যেকোন কারনেই হোক এরা বন্ধুমহলেও তেমন একটা জনপ্রিয় নয়। হয়তো ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময়ও সহপাঠী মেয়েরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো। সবমিলিয়ে সে মুলত একজন ইনসিকিউরড, লুজার এবং আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাক্তি। তার ধারনা সে নারীদের কাছে যথেস্ট আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক নয়, মেয়েরা কেনো তাকে পছন্দ করেনা এই নিয়ে সে পৃথিবীর সকল নারীর ওপর কিছুটা ক্ষিপ্ত এবং নিজের প্রতি কিছুটা হতাশও বটে, তার সন্দেহ হয় যে “I may not be man enough to conquer women that I deserve”, এই রুঢ় বাস্তবতাটা সে আবার মেনেও নিতে পারেনা। এই বিপরীতমুখী আবেগের অত্যাচারে সে নিজের সাথেই নিজে দগ্ধ হতে থাকে। মোটাদাগে দুইটা ভ্রান্ত ধারনায় ( illusion) সে ভুগতে থাকে। নিজের পৌরুষ নিয়ে অনিশ্চয়তা / ইনসিকিউরিটি থেকে সে কোন নারী’কে রেইপ করে নিজের পৌরুষ জাহির করতে চায়, নিজেকে সুপার ডুপার, ম্যাসকুলিন এবং তেজস্বী হিসেবে প্রমান করতে চায়। কার কাছে সে এই পৌরুষ জাহির করে? নিজের কাছেই। সে reassure হতে চায় নিজের কাছে। এইজন্য এই টাইপের রেপিস্টদের নাম power reassurance. প্রায় ব্যাতিক্রমহীনভাবেই এই ধরনের রেপিস্টরা আক্রমন করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিকটিম যথা বাসার কাজের মেয়ে, গার্মেন্টস কর্মী, দুর্বল পথচারী, প্রতিবন্ধী নারী, নিজের বাসার ভাড়াটিয়া, অফিসের অধস্তন, প্রবাসীর স্ত্রী, নিজের ছাত্রী, ভিখিরি বা ভাসমান নারী এবং কমবয়েশী শিশু বা ভালনারেবল ভিকটিমদের। এই প্রজাতির রেপিস্টদের সংখ্যা মোট রেপিস্টদের প্রায় ৭৫%। এদের ভিকটিক আগে থেকেই পরিচিত থাকে সাধারনত।
পরিচিতদের দ্বারাই বেশি নির্যাতন ও ধর্ষনের শিকার হয় মেয়েরা। ২০১৩ সালে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, সে বছর ১০০ জন ধর্ষণের শিকার নারীর মধ্যে ৯৮ জন এমন ব্যক্তিদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন, যারা তাঁদের পরিচিত৷ আদালতে যেসব মামলা ওঠে, বা গণমাধ্যমে যেসব ঘটনা প্রকাশ পায় সেগুলো বেশিরভাগই বাইরের লোকের হাতে৷ ফলে পরিচিত ব্যক্তি দ্বারা ধর্ষণের ব্যাপারটি ধামাচাপা পড়ে যায়৷ শুধু ভারত বা বাংলাদেশের মতো দেশে নয়; এমনকি ইউরোপ, আমেরিকার মতো অনেক দেশে আত্মীয়, বন্ধু, অফিসের সহকর্মী দ্বারা অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয় যা সাধারনত পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয় না। এরা সাধারনত Power Assertive রেপিস্ট। এরা মুলত রেইপ করে নিজেকে ক্ষমতাবান ফিল করার জন্য। নিজেকে ক্ষমতাবান ফিল করার বিকৃততম ও সহজতম উপায় হচ্ছে অন্যকে অপমান করা। এদের কাছে এই ক্ষমতাবান ফিল করার অংশ হচ্ছে রেইপ করা। They rape because thats how they feel that they are powerful, that they can rape or do whatever they want to । এদের চলাফেরায় দেখা যায় একটা অতিরিক্ত গা-জোয়ারি ভাব আছে, অতিরিক্ত ব্যাটাগিরি দেখানোর প্রবনতা আছে, নিজেকে ম্যাচো গাই ( macho guy) বা টাফ গাই দেখানোর একটা প্রবনতা আছে এদের মধ্যে। প্রায়শই এরা দলবেধে ( Gang) চলাফেরা করে থাকে । প্রকৃতপক্ষে এরাও ভিতরে ভিতরে ইনসিকিউরড বলেই এরকম ওভার পাওয়ারফুল ভাব নেবার চেস্টায় থাকে। এই প্রজাতির অনেক পুরুষেরা বন্ধুর সাথে হ্যান্ডশেইক করার সময়ও প্রয়োজনের চেয়ে জোরে হাতে চাপ দিবে৷ “কি দোস্ত কেমন আছিস” বলে বন্ধুর পিঠে চাপড় দেবার সময়ও এরা অন্যদের চেয়ে জো্রে চাপড় দিবে। এরা সাধারনত স্কুলে, কলেজে বা ভার্সিটিতে বুলি / bully টাইপের হয়। তবে এদের সংখ্যাও ১০ পারসেন্ট এর বেশী না।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ অনেকের কাছে বিনোদনের মাধ্যম, সেক্ষেত্রে নারীর পোশাকের ভূমিকা নেই। ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ এর কারণ হিসেবে পুলিশ নারীদের উপর পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব, মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার ও ছোট পোশাক পরিধানকে উল্লেখ করেছে৷ নারীদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ পুলিশ বলেছে, সেখানকার পুরুষরা তাদের বিনোদনের অভাব পূরণ করছে ধর্ষণের মাধ্যমে৷ দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশেও অনেক পুলিশ এমনকি কিছু ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষও এমনটা মনে করে। এজন্য তারা রাতে, নির্জন রাস্তায়, একাকী মেয়েদের চলাফেরায় নানান নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। এমনকি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিজাব জাতীয় পোশাক পরিধান করতেও উৎসাহিত করে, নির্দেশনাও দেয়। এরপরেও কিন্তু নারী নির্যাতনের ঘটনা ও ধর্ষণের সংখ্যা কমানো যায়নি। সকল পরিসংখ্যানে এটা স্পষ্ট। ২০১৩ সালে এক জরিপে দেখা গেছে যে, এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ জীবনে অন্তত একবার কোনো নারীকে ধর্ষণ করেছে৷ এর মধ্যে বেশিরভাগ পুরুষকেই কোনো আইনি ঝামেলা পোহাতে হয়নি৷
বাংলাদেশ, ভারতে জন্মের আগে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ বেআইনি হলেও, খুব সাধারণ ঘটনা৷ ফলে পৃথিবীর আলো দেখতে পাওয়া মেয়েদের সংখ্যা এত কম যে সমাজে নারী-পুরুষের অনুপাতে হেরফের হয়৷ এছাড়া বাল্যবিবাহ, কম বয়সে মা হওয়া, সন্তান জন্ম দিতে গিয়েও মৃত্যুবরণ করছেন নারীরা৷ পরিবারের ভেতরেও চলে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণ৷ এ পর্যন্ত কোন উল্লাখযোগ্য গবেষণাই এটা প্রমান করতে পারেনি যে নারীদের পোশাকের কারনেই তারা নির্যাতন ও ধর্ষকের শিকার হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে বাংলাদেশের অনেক মানুষ এমনটা মনে করে থাকেন, এখনো তাদের বদ্ধমূল ধারনা মেয়দের স্বল্প পোশাক যৌন নির্যাতককে প্ররোচিত করে। হিজাবের ব্যাপক প্রসারেও যে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমেনি তারা এই সত্য মানতে চায় না। প্রকারান্তরে তারা ভিকটিম ব্লেইমিং করে নারী নির্যাতক ও ধরষকের পক্ষেই বলছেন। তবে আশার কথা যে সমাজের নানান স্তর থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে, পোশাক যে নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের কারন নয় এই বোধ বাংলাদেশের সমাজে প্রচার হওয়া শুরু হয়েছে। অনেকে নির্যাতন, হত্যার হুমকি পেয়েও এই কথাগুলো বলে যাচ্ছেন। একদিন হয়তো নারীরা সত্যিই নির্যাতন ও ধর্ষণ থেকে মুক্তি পাবে।
Related Posts
এই ধর্মীয় উন্মাদনা এখনি থামাতে হবে, সভ্যতার পথে হাঁটুন
বাংলাদেশের সমাজটা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে বিগত ২০/৩০ বছরে। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে জঘন্য অনুঘটক ছিলRead More
Under the cover of development, the real image of India, Pakistan, and Bangladesh
India has sent a spacecraft to the moon and successfully landed there. There is noRead More
উন্নয়নের আড়ালে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের প্রকৃত করুন চিত্র
ভারত চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছে এবং সেটা সেখানে সফল অবতরণও করেছে। ভারতের এতে গর্বের সীমা নেই,Read More
Comments are Closed