Science
Flying Saucer - Myth or Reality

Flying Saucer - Myth or Reality ?

ভিনগ্রহের সসার ঈসরাইলের ৫৩ জন মানুষকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে !

আমেরিকার নাসা হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। আমেরিকার কাউকে না নিয়ে ঈসরাইল থেকে নিয়েছে। কিন্তু তাদের বিতর্ক থামছে না। প্রথমে লম্বা চওড়া গড়নের কারনে পাকিস্তানিদের পছন্দ হয়েছিল ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রানীদের। কিন্তু পাকিস্তান গে পর্ণ দেখায় বিশ্বে শীর্ষে। এমন একটি উন্নত রেকর্ডওয়ালা দেশের মানুষকে নিয়ে তারা নিন্দিত হতে চায়নি। শেষমেষ পৃথিবীর নিন্দিত দেশ ঈসরাইল থেকেই নিল। তাদের আকর্ষন এত ঘৃনিত দেশ হওয়ার পরও তারা কেন চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে থাকবে ? এটা তো থাকার কথা ছিল সৌদি আরব, না হয় তুরস্ক তাও না হলে ব্রুনাইয়ের।

প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় রকিব হাসানের ‘উড়ন্ত সসার’ জাতীয় কল্পকাহিনীর বই পড়ে সেগুলোকে বাস্তব ভেবে নিতাম। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়ে ফেলতাম এক নিঃশ্বাসে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রায়ই দাবী করে ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের বাহন উড়ন্ত সসার দেখার। কিন্তু আমার মতে এগুলোর সব মিথ্যা দাবী।

দুটি বাস একই স্টেশন থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী দিকে উচ্চগতিতে যাত্রা শুরু করল। এখন ভুল করে এক যাত্রী ভুল বাসে উঠে পড়লেন। তিনি কোনমতে নেমেই জোরে দৌঁড় দিলেন বিপরীতমূখী বাসটি ধরার জন্য। ধরার সম্ভাবনা কতটুকু ? ১৩.৭ বিলিওন বা ১৩৭০ কোটি বছর পূর্বে আদতে মহাবিশ্বের সবই একটা বিন্দুতে ছিল। বিগ ব্যাং হলে হাজার কোটি গ্যালাক্সি, নক্ষত্র চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া সেই যে শুরু করল সেটা আজও চলছে। মহাবিশ্ব এখনো প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে। গতিটা ৭৪.৩ কিলোমিটার পার সেকেন্ড পার মেগাপারসেক। এক মেগাপারসেক হল ৩.২৬ আলোক বর্ষ। আলো সেকেন্ডে কতটুকু চলে সেট জানতে হলে গুগল করুন। গুগল না করতে পারলে আর পড়ার দরকার নেই, যদিও এখানে দেয়া আছে পরে। ভিনগ্রহের সসার ঈসরাইলের ৫৩ জন মানুষকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে, এই সুখচিন্তা করে সুখনিদ্রা যান আজ। ফান ফ্যাক্টঃ যে গ্যালাক্সিগুলো আমাদের মহাবিশ্বের একেবারে কিনারায় বা অন্য কোন মহাবিশ্বে যার কথা আমরা জানিনা সেগুলো আলোর গতিতেই দূরে সরে যাচ্ছে।

এখন ধরুন আপনার খুব শখ হয়েছে আমেরিকা দেখার। অনেক কষ্টে টাকা পয়সা জোগাড় করে আপনি প্লেনে চেপে বসলেন। এরপর আপনি নিউ ইয়র্কের এয়ারপোর্ট এ নেমে ইমিগ্রেশন পার না হয়ে আবার ফিরতি ফ্লাইট ধরে ফিরে আসলেন। ব্যাপারটা অবাস্তব। এমনটি কেউ করবে না। ভিনগ্রহের সসারও তেমন কিছু। তারা হাজার হাজার বছর ধরে গবেষনা করে খুঁজে পেলো তাদের থেকে কোটি আলোকবর্ষ দূরে কোন এক পৃথিবী নামক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে এবং সেখানে মানুষ নামক বুদ্ধিমান প্রাণীও আছে। এবার তারা ৫/১০ সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীর আকাশে এসে আবার ফিরে চলে গেল ! হাস্যকর ! তারা যদি সত্যিই আসত তবে পৃথিবীতে তাদের কর্তৃত্ব ফলাতো এতদিনে। আমরা তাদের ল্যাবরেটরির গিনিপিগ হতাম। তারা জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতায় আমাদের থেকে অন্তত কয়েক লক্ষ বছর এগিয়ে থাকত।

১ সেকেন্ডে আলোর গতিবেগ প্রায় ৩০০,০০ কিলোমিটার। এই বেগে কেউ যেতে পারলে তার আমাদের সৌরজগতের নক্ষত্র সূর্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। আর সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টোরি তে পৌঁছাতে লাগবে ৪.২৫ আলোক বর্ষ যার দূরত্ব প্রায় ৩০০০০০X৬০X৬০X২৪X৩৬৫ = ৯৪৬০৮০০০০০০০০ কিলোমিটার। ১৮০০ বছর আগে জ্যোতির্বিদ টলেমি ৪৮ টা নক্ষত্রপুঞ্জ তালিকাভুক্ত করেছিলেন, তার মধ্যে এই সেন্টোরাস নক্ষত্রপুঞ্জও ছিলো। মহাবিশ্বে আমাদের মতো হাজার কোটি নক্ষত্রের গ্রহ থাকতে পারে। তাদের ভিতরে কোটি কোটি গ্রহে আমাদের মতো বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিহীন বা বেশী বুদ্ধির প্রানী থাকতে পারে। সেই নক্ষত্র বা গ্রহগুলোর দূরত্ব এত এত বেশী যে যার অধিকাংশ থেকে সেই ১৩৭৫ কোটি বছর ধরে আলো চলেও এখনো তাদের আলো এসে আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছেনি। আর কোনদিন সেটা পৌঁছাবেও না হয়ত। কারন মহাবিশ্ব ক্রমে সম্প্রসারিত হচ্ছে। একটার থেকে অন্যটা আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটি এখন প্রমানিত সত্য। সুতরাং অনেক দূরবর্তী কোন গ্রহের প্রাণী হয়ত জানবেও না আমরা মানুষ এখানে বসে তাদের নিয়ে ভাবছি।

আমাদের শরীরের অনু-পরমানু সেই মহাবিশ্বের আদি অনু-পরমানু থেকেই এসেছে। সুতরাং মহাবিশ্বের অন্য কোথাও প্রানী থেকে থাকলে তারাও প্রায় একই রকম জৈব যৌগ দিয়েই গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। পৃথিবী বা অন্য নক্ষত্র, গ্রহের অভিকর্ষ, মহাকর্ষ ও বায়বীয় বলয়ে কোনকিছু আলোর গতিতে প্রবেশ দূরে থাক, এর অনেক কম গতিতে ঢুকলেও তা আগুন ধরে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের পৃথিবীর দিকে সবসময়ই অনেক উল্কা আসে যেগুলো পৃথিবীর বায়ূমন্ডলে ঢোকার মুখেই আগুন ধরে ধ্বংস হয়ে যায়।

সুতরাং অতীতে বা অদূর ভবিষ্যতে এক গ্রহের প্রাণীর সঙ্গে অন্য গ্রহের প্রাণীর সাক্ষাত অনেকটা বাস্তবতা বর্জিত তবে লক্ষ/কোটি বছরে এটা সম্ভব হলেও হতে পারে। কারন তখন এমন কোন প্রযুক্তি আবিষ্কার হবে যা আমাদের প্রচলিত ধারনায় নেই। সে পর্যন্ত চলুন আমরা অন্ধত্ব দূর করে একটু বিজ্ঞানমূখী হই।

Related Posts

Evolution through mutation

Evolution through mutation: Nature’s perfect strategy

Evolution is the gradual process of change in the living world through which species adaptRead More

Evolution occurs through mutation

মিউটেশনের মাধ্যমেই বিবর্তন: প্রকৃতির নিখুঁত কৌশল

বিবর্তন (Evolution) হলো জীবজগতের ধাপে ধাপে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে প্রজাতিগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিযোজিতRead More

Blood donation from family members and problems

What can be the problem if someone takes blood from his family member?

This is a frequently asked and very important question about blood donation. If you wantRead More

Comments are Closed