
Are religious schools necessary ?
প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ নির্মানে কতটা ভূমিকা রাখে ?
কেউ এগিয়ে, কেউ পিছিয়ে। কিন্তু কেন ? সঠিক কাজ সময়মত না করতে পারা একটা কারন। আধুনিক মালয়েশিয়ার রুপকার মাহাথির মোহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তব্যে বলেছিলেন “সঠিক কাজ সবসময় জনপ্রিয় হয় না।” আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া এমন অনেক অজনপ্রিয় কিন্তু সঠিক কাজের ফলাফল। মানুষের মতামত, মানুষের অনেক অনুভূতির কথা চিন্তা করে সঠিক কাজগুলো না করলে তারা পিছিয়েই থাকে।
ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন শুরু হওয়ার আগে হিন্দুদের অনেক ধর্মীয় শিক্ষালয় ছিলো টোল নামে। টোল হচ্ছে এমন শিক্ষাকেন্দ্র যেখানে সংস্কৃত ভাষা শিখে পুরোহিত বা পুজারী ঠাকুর তৈরি হয়। সেই টোল ভারত স্বাধীন হবার পর সরকারীভাবে পরিত্যাগ করা হয়। ইংরেজ আসার পর ভারতীয় হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা মত প্রকাশ করেন, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অধ্যায়ন না করে এইসব টোলে সংস্কৃত পড়ে কোন উন্নতি করা যাবে না। বাংলার অন্যতম মহানায়ক বিদ্যাসাগর সরাসরি টোলের বিরোধীতা করে সবাইকে ইংরেজ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ নেয়ার কথা বলেন।

নদীয়া হচ্ছে হিন্দু পন্ডিত তৈরির কারখানা। সেটাই ছিল প্রসিদ্ধ। সেই প্রায় ৪০০০ বর্গকিলোমিটার ও ৫২ লক্ষ মানুষের নদীয়াতে টোল কমতে কমতে এখন ২৫টিতে গিয়ে ঠেকেছে। এসব টোল সরকারের অনুদান বা বিশেষ কোন কিছু পায় না। হিন্দুরা টোল পরিত্যাগ করে শিক্ষা দীক্ষায় অনেক এগিয়ে গিয়েছিল আধুনিক শিক্ষার কল্যানে। এখনো তারা অনেক পরমত সহিষ্ণু, অন্তত তুলনামূলক বিচারে। তাদের বিশ্বাসের সমালোচনা করলেও তারা মারার জন্য তেড়ে আসে না বেশীরভাগ ক্ষেত্রে।
একজন বা এক দেশ যখন এগিয়ে যায় অন্য অনেকে তখন শুধু পিছিয়েই নয়- চরমমাত্রায় অজ্ঞ এবং কিছু ক্ষেত্রে অসভ্য থেকে যায়। হিন্দুদের টোলের ঐতিহ্য কিন্তু ছিল অনেক পুরানো। সেই টোল তারা পরিত্যাগ করেছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা হারিয়েছে। তাতে কোথাও কোন শব্দ হয়নি।
আমেরিকা ১৮৫২ সালে তাদের শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিলো। অনেক দেশ তারও ১৫০ বছর পরেও এটা পারেনি। যাইহোক, কথা ঐটাই। সঠিক কাজ সবসময় মানুষ পছন্দ নাও করতে পারে। কিন্তু যেটা যৌক্তিক, যেটা সঠিক সেটা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। না হলে একজন যখন ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলবে তখন অন্যজন কুফরী, যাদু, টোনার চর্চা করবে !
এই ভিডিওটি পরে সংযোজিত। মার্চ ০৯, ২০২১ তারিখের ঘটনা
কোন ব্যক্তিগত ক্রোধ বা আক্রোশ না থাকলে কেউ একটা বাচ্চার সঙ্গে এমন অমানুষের মতো আচরন করতে পারে না। এই সমস্ত বাচ্চাগুলোর কি কোন বাবা-মা বা অভিভাবক নেই ? রাষ্ট্র কেন তার শিশুদের নিরাপত্তা দিয়ে রাখে না ? বাচ্চাগুলোর শৈশব তো সম্মিলিতভাবে নষ্ট করছেই, উপরন্তু কি নির্দয়, অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। রাষ্ট্র এসব দুস্কৃতিকারীকে দেখে না, রাষ্ট্র এদের ভয় পায়, এদের নামে কোন শব্দ উচ্চারন করার সাহস এই রাষ্ট্রের নেই।
এই প্রতিষ্ঠানটি মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমী। হাটহাজারি কনক কমিউনিটি সেন্টার, পশু হাসপাতালের পেছনে, কামাল পাড়া রোড, চট্রগ্রাম।
Related Posts

শরীয়া আইনের এক মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত, নারীর প্রতি ইসলামের অবিচার!
মর্মান্তিক আর হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা ২০০৪ সালের, এবং এটা ঘটেছিল ইরানে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামীRead More

মানুষের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য কি ?
অনেক মানুষই এই প্রশ্নে ঘুরপাক খায়। এই ঘুরপাক খাওয়ার দোলাচলে তারা একপর্যায়ে তাদের মাথায় পরিবারRead More

Thinking about that evening still gives me goosebumps
From the beginning of this month, metro trains are full of passengers after 10/11 pm.Read More
Comments are Closed