
Durga or Mahishasura?
দূর্গা নাকি মহিষাসুর – পৌরানিক মিথের আসল নায়ক কে?
ভাগুরা (ভারতীয় উগ্রবাদী ছাগল – ভারতীয় গু) এবার (২০২৫) দূর্গা পূজায় প্রফেসর ইউনুস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদলে মহিষাসুর বানিয়েছে। হাজারো প্রানের আত্মদান, দশ হাজারের বেশী গুরতর আহত হওয়া মানুষের সংগ্রাম, বাংলাদেশের গণমানুষের দূর্বার গণুভ্যুত্থনের মুখে পালিয়ে যাওয়া পতিত শাসক, খুনি, ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী সেকাচিনা তাদের কাছে দূর্গা! এই হলো একটি দেশের মানুষের সর্বোচ্চ ত্যাগ, গণঅভ্যুত্থানের প্রতি তাদের ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি। একটি দেশের সামষ্টিক মানুষের উপর কতটা ঘৃনা থাকলে তারা এমনটি করতে পারে! যদিও এই ঘৃনা পুরো ভারতীয় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ভাগুরা কয়েক বছর আগেও বাড়ি বাড়ি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূর্তি বানিয়ে পূজা দিতো! হায়রে ভাগু, স্বার্থের বাইরে তাদের কাছে কোন কথা নেই। তবে ভাগুদের অনেক স্টেট আছে, বিশেষ করে দক্ষিন ভারত, সেখানকার লোকজন তুলনামূলক বেশী শিক্ষিত, ভদ্র, সভ্য।
ভাঙ্গুরা কয়েক বছর আগেও বাড়ি বাড়ি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূর্তি বানিয়ে পূজা দিতো! হায়রে ভাঙ্গু, স্বার্থের বাইরে তাদের কাছে কোন কথা নেই। তবে ভাঙ্গুদের অনেক স্টেট আছে, বিশেষ করে দক্ষিন ভারত, সেখানকার লোকজন তুলনামূলক বেশী শিক্ষিত, ভদ্র, সভ্য।
দূর্গাপুজা ব্যপারটাই একটা বর্ণবাদী ব্যাপার। দূর্গা যেখানে সাদা চামড়ার রুপবতী নারী, অসুর সেখানে কদাকার, কালো! আপনি যদি ভারতের হাজার বছরের ইতিহাস দেখেন, তাহলে বুঝবেন, এই অঞ্চলের আদি ভূমিপুত্র তথা এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দারা ছিল কালো বর্ণের। আপনি সাঁওতালদের দেখলে বুঝবেন। যুগে যুগে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের লুটেরা দখলদার বাহিনী ভারত দখল নিতে আসতো। আর্যরা তার বাইরে নয়, তাদের বর্ণ ছিল সাদা। সেজন্য, পশ্চিমবঙ্গের অনেক আদিবাসী এখনো দূর্গাকে দেখে দখলদার, নৈরাজ্যকারী হিসাবে আর অসুরকে দেখে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিবাদী বীর হিসাবে।
দশহাতের দূর্গা, মহিষের পেট থেকে অসুর বের হওয়া এসব গাঁজাখোরী কল্পকাহিনীর বাইরে গিয়ে যুক্তি দিয়েও বুঝবেন, কালো বর্নের মানুষ ছিল এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা, আপনার আমার আদি পূর্বপুরুষ। যেহেতু ইতিহাস, উপাখ্যান সবসময় বিজয়ীরা লেখে, সেহেতু দুর্গা সেখানে ত্রানকর্তা, আর আমাদের পূর্বপুরুষ, এই অঞ্চলের ভূমিপুত্রদের হয়ে লড়াই করা অসুর সেখানে দানব! যদি অসুর বিজয়ী হতো, তবে ইতিহাস বলতো সে মহাবীর, ত্রানকর্তা। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, ও ওড়িশার কিছু আদিবাসী সম্প্রদায় মহিষাসুরকে ‘হুদুড় দুর্গা’ নামে স্মরণ করেন। তাঁদের মতে, মহিষাসুর ছিলেন এক আদিবাসী রাজা, যিনি আর্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। দুর্গা এখানে এক বহিরাগত আগ্রাসী, দখলদার শক্তির প্রতিনিধি, যিনি আদিবাসী সমাজকে দমন করেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মহিষাসুরকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলা হয়, কারণ তিনি নিজের ভূমি ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়ে হয়েছেন শহীদ। আদিবাসী উৎসব ‘দশাই’ – যা দুর্গাপূজার সময় পালিত হয় – তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশের একটি প্রতীক।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকে দেশপ্রেমিক বা শহীদ হিসেবে দেখা হয়। এই সংস্কৃতি মূলত সাঁওতাল ও অসুর জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত। যদিও এই বিষয়ে ঐতিহাসিক প্রমাণের অভাব রয়েছে এবং বিভিন্ন মিথ একত্রিত করে এই ধারণা গড়ে উঠেছে। আসলে পুরো কল্পকাহিনীই তো একটা মিথ, এর সঙ্গে কোন যুক্তি, বাস্তবতা, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার দূরতম কোন সংযোগ নেই। ২০০০-এর দশক থেকে কিছু বামপন্থী ও দলিত আন্দোলন মহিষাসুরকে ‘শহীদ’ হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘মহিষাসুর স্মরণসভা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে তাঁকে ব্রাহ্মণ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
মহিষাসুরের চরিত্র আজ একটি প্রতীকী যুদ্ধক্ষেত্র – যেখানে ধর্মীয় পুরাণ, আদিবাসী ইতিহাস, এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। তিনি কি ‘অসুর’, না কি ‘দেশপ্রেমিক’? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনি কোন দৃষ্টিকোণ গ্রহণ করছেন। মহিষাসুরের চরিত্র আমাদের শেখায় যে ইতিহাস কখনও একমাত্রিক নয়। প্রতিটি আখ্যানের পেছনে থাকে বহুস্তরীয় সত্য, যা সময় ও সমাজের প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত হয়। তাঁকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলা যায় কি না, তা নির্ভর করে আপনি কোন ইতিহাসকে গ্রহণ করছেন, এবং কোন সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
Related Posts

Are religion, country, race, patriotism, and nationalism all racist concepts?
The only uncontacted human tribe left in the world today are the Sentinelese of NorthRead More

ধর্ম, দেশ, জাতি, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ সবই কি বর্ণবাদী কনসেপ্ট?
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত একমাত্র আন কন্টাক্টেড মনুষ্য প্রজাতি আমাদের বঙ্গোপসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের সেন্টিনেলীরা। তারাRead More

Durga or Mahishasura – who is the true hero of the mythological legend?
Bhagura (Indian extremist goat – Indian Shit) have, in 2025, created a Mahishasura effigy inRead More
Comments are Closed