coronavirus rumors

Coronavirus Rumors

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত গুজব থেকে সতর্ক থাকুন, সঠিক তথ্য জেনে নিন

ইউনিসেফের নামে ছড়ানো এই কথাগুলোর কোন ভ্যালিডিটি নেই

১। করোনা ভাইরাস বিশালাকৃতির ভাইরাস, যার কোষের প্রস্থ ৪০০-৫০০ মাইক্রোমিটার। সুতরাং যে কোনও মুখোশ যেটা এই আকারের বস্তুকে প্রতিহত করতে পারে সেটা ব্যবহার করলেই হবে, ফার্মাসিস্টদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
২। ভাইরাসটি বায়ুবাহী নয়, আকারে বড় ও ভারী বলে এটা মাটিতে পড়ে থাকে।
৩। করোনা ভাইরাস যখন ধাতব কোনো পৃষ্ঠের উপর পড়ে তখন এটি ১২ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কাপড়ের উপরে পড়লে ৯ ঘন্টা, সরাসরি শরীরে লাগলে ১০ মিনিট পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তাই সাবান এবং পানি দিয়ে ভালভাবে জামাকাপড়, শরীর পরিষ্কার করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব।
৪। যদি ভাইরাসটি ২২°-২৭° ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে তবে এটি মারা যাবে, কারণ এটি গরম অঞ্চলে বাস করে না। এছাড়াও গরম পানি খেলে এবং সূর্যের আলোয় থাকলে করোনাভাইরাস কার্যকর হতে পারে না।
৫। আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়া পরিহার করুন।
৬। উষ্ণ-লবণপানিতে গার্গল করলে করোনাভাইরাস মরে যায় এবং টনসিল ও ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে না।
উল্লেখিত ছয়টি উপায় মেনে চললে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তথ্যসূত্রঃ ইউনিসেফ

ইউনিসেফের নামে বলা এই কথাগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে যার কোন ভ্যালিডিটি নেই। এর অধিকাংশ পয়েন্ট যৌক্তিকই না, কেউ বলেওনি। এমনকি অনেক সংবাদপত্রেও ইউনিসেফের বরাত দিয়ে এগুলো বলা হচ্ছে।

ইউনিসেফ মূলত যা বলেছে তা এমন

How can I avoid the risk of infection?
Here are four precautions you and your family can take to avoid infection:

– Wash your hands frequently using soap and water or an alcohol-based hand rub

– Cover mouth and nose with flexed elbow or tissue when coughing or sneezing. Dispose of used tissue immediately

– Avoid close contact with anyone who has cold or flu-like symptoms

– Seek medical care early if you or your child has a fever, cough or difficulty breathing

https://www.unicef.org/mena/coronavirus-disease-covid-19


✪ আশার কথা হলো, করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে ০ থেকে ৯ বছরের কোন শিশু মারা যায়নি। শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমন খুব রেয়ার।
.
✪ যারা মারা গেছেন তারা যে সবাই করোনাভাইরাসেই মারা গেছেন এর কোন নিশ্চিত প্রমান নেই। অধিকাংশ মানুষের অন্য অনেক শারীরিক সমস্যা ছিলো।
.
✪ ১০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মাঝে মাত্র ০.২% (১০০০ জন মানুষে ২ জন) মানুষ মারা গেছেন তাও করোনার কারনে কিনা নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত করোনা হিসাবে এই গ্রুপে ০% মানুষ মারা গেছেন।
.
✪ সবচেয়ে বেশী মারা গেছেন ৮০ বছরের উর্দ্ধের মানুষ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল।
.
✪ পুরুষের চেয়ে মহিলাদের মারা যাওয়ার ঘটনা কম।
.
✪ যারা মারা গেছেন তাদের আগে থেকেই হৃদরোগ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যান্সার, দুঃশ্চিন্তা এসব ছিলো।
.
✪ এর চেয়ে বরং সার্স করোনাভাইরাস, মার্স করোনাভাইরাস, ইবোলা অনেক বেশী ভয়ংকর ছিলো।
.
✪ গরম আবহাওয়ায় বা গরম পড়া শুরু হলে এই করোনাভাইরাসের সংক্রমনের হার কমে যেতে পারে।

Related Posts

15 February 1996 Election

১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন – বি এন পি যেভাবে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছিল

২০২৪ এর ঐতিহাসিক গণ-অভভুত্থানের আগে ১৯৯০ সালে ছাত্র জনতার ত্যাগের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র বিকাশের যেRead More

This Religious Frenzy Must End Now – Walk the Path of Civilization

Bangladesh’s society has changed dramatically over the past 20–30 years. One of the most destructiveRead More

Fascist Sheikh Hasina

স্বৈরাচার যখন দানব হয়ে যায় তখন মানুষের লাশের গন্ধ তাদের কাছে প্রিয় হয়

আমি আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের কমিটির কখনোই কেউ ছিলাম না, এখনো নেই। আওয়ামী লীগ বাRead More

Comments are Closed