Coronavirus Awareness
ভাইরাস কোন ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাত চিনেনা; সম্মিলিত প্রতিরোধই একমাত্র উপায়
ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া ভাল মানুষ, বদমাশ, ঘুষখোর, ইমাম, লম্পট, পীর, ফকির, দরবেশ, মন্ত্রী, আমলা, কামলা, গরীব, ধনী, হিন্দু, মুসলমান, নাস্তিক, আস্তিক, ইহুদী, খ্রীস্টান কাউকে আলাদা করে দেখেনা। ভাইরাস নিষ্পাপ শিশু, বৃদ্ধ কাউকে চেনেনা। দূর্বল শরীর পেলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, খেয়ে পরে তার বংশবৃদ্ধি করে। ভাইরাসের বিস্তারের সঙ্গে বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই। জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ কিছুই সে দেখবে না। ধীরে ধীরে আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে মৃত্যুর দরজায়। আপনার শরীরকে সে পরীক্ষা করে দেখবে। আপনি যথেষ্ট সমর্থ হলে টিকবেন, নতুবা আপনাকে ছাড়া হবে না। মানবজাতির জন্য এ এক ভয়াবহ পরীক্ষা।
ভাইরাস খুব দ্রুত তার অনুলিপি তৈরি করে টিকে থাকতে পারে। আপনি যেমন আপনার বংশ রক্ষার জন্য বাজারের সব চাল, আটা, তেল, নুন একাই কিনে নিয়ে আসেন সেও তার বংশধরকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে পারে। বিশ্বের প্রায় সব দেশ এই ভাইরাসে এখন সন্ত্রস্ত। তাই কেউ যদি বলে করোনা ইহুদী নাসারাদের হবে, আমাদের হবেনা তাদের কথায় কান দিবেন না। ওরা মানব প্রজাতির শুত্রু। এখন যুদ্ধটা ভাইরাসের সঙ্গে সমগ্র মানব প্রজাতির। এই যুদ্ধে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খ্রীস্টান, কে আস্তিক, কে নাস্তিক এসব দেখার সুযোগ নেই। যারা দেখবে তারা সমগ্র মানব প্রজাতির জন্য ভয়ংকর, ভাইরাসের চেয়ে ওরা বেশী ক্ষতিকর।
এই ভাইরাসটি মূলত শ্বাসনালী, ফুসফুস কেন্দ্রিক। আপনার শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধী সৈন্যরা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য একই সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ফুসুফুস ও শ্বাসনালীতে চলে গিয়ে নালী ছোট করে দেয়, দেখা যায় যেখানে প্রয়োজন ৫০০ সৈন্য সেখানে হাজির হয় ১ লক্ষ। তখন শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় কিছু মানুষের। আপনার বা অন্য কোন মানুষকে সুনির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ভাইরাস ক্ষতি করার জন্য আসেনা। সে আসে তার খাদ্যের জন্য ও বংশবিস্তার করার জন্য। সুতরাং নিজের রোগ প্রতিরোধী সিস্টেমকে সবসময়ের জন্য শক্তিশালী রাখা আমাদের কর্তব্য।
আমাদের সমস্যা হলো আমরা নিজেরা সচেতন না হয়ে উদ্ধার করার জন্য একজন নায়ক খুঁজি। যেমন এখন খুঁজছি একজন প্রতিষেধক আবিষ্কারক ও ডাক্তার, নার্সদের। তবে এটা সত্য আমরা যদি সম্মিলিতভাবে সচেতন না হই তবে সবচেয়ে ভার্নারেবল অবস্থায় চলে যাবে ডাক্তার, নার্সরা। দিনশেষে তাদেরও বাচ্চা, কাচ্চা, পরিবার আছে। আপনার ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে কল্পনাবিলাসে ভুগে নিজের ও অন্যদের জীবন বিপন্ন করবেন না দয়া করে।
Related Posts
শরীয়া আইনের এক মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত, নারীর প্রতি ইসলামের অবিচার!
মর্মান্তিক আর হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা ২০০৪ সালের, এবং এটা ঘটেছিল ইরানে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামীRead More
মানুষের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য কি ?
অনেক মানুষই এই প্রশ্নে ঘুরপাক খায়। এই ঘুরপাক খাওয়ার দোলাচলে তারা একপর্যায়ে তাদের মাথায় পরিবারRead More
Thinking about that evening still gives me goosebumps
From the beginning of this month, metro trains are full of passengers after 10/11 pm.Read More
Comments are Closed