Internet
Wrong Policy on Cache Server

Wrong Policy on Cache Server

মাথা ব্যাথার ভয় দেখিয়ে হলেও মাথা কেটে ফেলতে হবে, এটাই বাংলাদেশের পলিসি

মাথা ব্যাথা হোক বা না হোক, মাথা ব্যাথার ভয় দেখিয়ে হলেও মাথা কেটে ফেলতে হবে, এটাই বাংলাদেশের পলিসি।

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের ইন্টারনেট গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলার ও খরচ বাড়ানোর একটা পাকাপাকি বন্দোবস্ত করা হলো। সারা দুনিয়া জুড়েই আইএসপি’রা ফেসবুক, ইউটিউব, গুগোলের জন্য ক্যাশ সার্ভার ইউজ করে যাতে ইউজারদের ব্যাণ্ডউইথ কম লাগে, খরচ কমে। কিন্তু ডিজিট্যাল বাংলাদেশে ক্যাশ সার্ভার ইউজ করা নাকি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কেমনে কি কিছুই বুঝিনা। এইটা জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা ! এরা পারেও !

নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অনুরাগ ভাটিয়ার হিসাব অনুযায়ী ২০২১ এর এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক এফএনএ (ক্যাশ সার্ভার) নোড-ক্লাস্টার ছিলো অন্তত ১৫৩টি। এর মধ্যে ১০৫টিই ঢাকা বা ঢাকার আশেপাশে – এই সিস্টেমে এয়ারপোর্ট কোড ইউজ করা হয় – এবং ২১টি চট্টগ্রাম বা চট্টগ্রামের আশেপাশে; বাকি নোড-ক্লাস্টারগুলো অন্যান্য এয়ারপোর্টগুলোর আশেপাশে। এই সার্ভারগুলো বন্ধ হয়ে গেলেতো বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজারদের অনেক ভোগান্তি হবে (কম স্পিড, বেশি এমবি)। ইউটিউব এবং গুগলের ইউজারদের ক্ষেত্রেও একই হবে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে এই ফাইজলামির কি মানে?

অনেকে বলছেন এটা সরকারি উদ্দেশ্য না। ইন্টারনেট ব্যাবসায় যারা জড়িত আছে, তাদের নিজেদের মধ্যেকার মারামারি কাটাকাটির ফল। বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খাওয়ার মত আরকি। ক্যাশে সার্ভারের পারমিট কেবল IIG, NIX এবং ন্যাশনওয়াইড যাদের লাইসেন্স আছে তাদের কাছেই থাকবে। জোনাল, লোকাল বা ছোট আইএসপি ব্যবসায়ীদের কাছে থাকবে না। মুলত, ইন্টারনেট ব্যবসার মূল যে raw ব্যান্ডউইথ তার ৯৫% ইউজার এই ছোট ব্যবসায়ীরাই। তাদের থেকেই বাসাবাড়িতে লাইন সংযুক্ত হয়। সুতরাং তাদের কাছে ক্যাশে সার্ভার থাকার মানে হচ্ছে, raw ব্যান্ডউইথ কম ইউজ হওয়া। যেটা বড় ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক না, কারন তারা শুধুমাত্র পাইকারি raw ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে। বাংলাদেশ ৯০% মানুষ খালি ফেইসবুক আর ইউটিঊব চালায়। আর এইগুলা শহরঅঞ্চলে চলে ক্যাশ ব্যান্ডউইথে, সার্ভার থাকলে যেটা কেনার কোন প্রয়োজন হয় না। একজন গ্রাহক অবশ্য raw ব্যান্ডউইথের হিসাবেই মাসিক বিল দেয়। সো সহজ কথায়, ক্যাশ সার্ভারের এক্সেস না থাকার কারনে, raw ব্যান্ডউইথ বিক্রি বেড়ে যাবে, লাভবান IIG, NIX আর ন্যাশনওয়াইড আইএসপি’রা, যারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ক্যাশ ব্যান্ডউইথও তারা বিক্রি করবে এখন। এখন প্রশ্ন কইরেন না যে এইসব বড় কোম্পানিগুলার মালিক কারা এবং এইগুলাতে কাদের ইনভেস্টমেন্ট?!

যারা ভাবছেন এই ক্যাশ না থাকার কারনে শুধু ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়বেন তারা ভুল জানেন। যখন এই ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারকারীরা raw ব্যান্ডউইথে ভাগ বসাবে তখন অন্য সাইটের জন্যও স্পীডে টান পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে ছোট ছোট কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সার, অনলাইনে ক্ষুদ্র উদ্যোগের ই-কমার্সে জড়িত মানুষগুলো। সার্বিকভাবে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন সকলেই।

এখন আমাকে কেউ একজন বোঝান, ক্যাশ সার্ভার কিভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ! এগুলো কি মোটা মাথাওয়ালাদের চিন্তা ?

Related Posts

Evolutionary Biology and Women

Protecting women is a man’s responsibility – this is a lesson rooted in evolutionary psychology

A common tendency across all societies is to take extra care of women. This isRead More

Mitochondrial Eve

নারীকে সুরক্ষা দেয়াটা পুরুষের কর্তব্য, এটা বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের শিক্ষা

সব সমাজের একটা কমন টেন্ডেন্সি হলো নারীকে এক্সট্রা কেয়ার নেয়া। এটা প্রকৃতির একটা নিয়ম। মাইটোকন্ড্রিয়ালRead More

Evolution through mutation

Evolution through mutation: Nature’s perfect strategy

Evolution is the gradual process of change in the living world through which species adaptRead More

Comments are Closed