MYTH
Splitting of the Moon and Islamic Myth

Splitting of the Moon and Islamic Myth!

ফেবু মুমিনদের সহজ সরলতা, কুযুক্তি ও শেষে চাপাতির কোপ !

ফেসবুকীয় মুমিন মানেই বোকা, যাদেরকে অনেক সেক্যুলার নিজেদের আড্ডায় ‘ছাগল” অন্যকথায় ছাগু (ফেসবুক আবার তাদের সম্মানার্থে ছাগু সরাসরি লিখলে গোস্বা করে স্ট্যাটাসে ওয়ার্নিং দেয়, আইডি রেস্ট্রিকশনও করে দেয়। দিনশেষে ফেসবুক চিন্তা করে ব্যবসা, ছাগুরা সংখ্যায় বেশী, তাদেরকে বেশী পাত্তা দেয় ফেসবুক)। এই মুমিন ফেসবুকাররা এক লাইন কোন বই, আর্টিকেল কিছুই পড়ে দেখবে না, বুঝবে না। পারে শুধু ম্যা ম্যা করতে আর ল্যাদাতে। এক ফেবু মুমিন আমাকে ম্যাসেজে একের পর এক এর ওর ভিডিও লিংক দিয়ে যন্ত্রনা দিচ্ছিলো, শেষে তাকে ‘লজিক্যাল ফ্যালাসি’ বোঝার জন্য একটা লিংক দিয়ে বললাম এটা সম্পূর্ণ পড়ে এসে পরে অন্যকিছু দিবেন। সেই মুমিন না পড়েই এসে মন্তব্য করে দিলো এটা –

“গরু ঘাস খায় আমরা গরুর দুধ খাই। মানে আমরা ঘাস খাই। এইসব বুঝলাম।”

এদের জ্ঞান, বিদ্যের দৌঁড় এই পর্যন্ত। এরা কোরান, হাদীস অর্থ, তরজমা, তাফসিরসহ কখনো পড়েও দেখেনি; অন্যকিছু পড়া তো দূরের ব্যাপার। এরা বিশ্বাস করে বসে থাকে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে আজান শুনেছেন, চাঁদ দুইভাগে বিভক্ত দেখেছেন। স্বয়ং নীল আর্মস্ট্রং নিজে মুমিনদের এই দাবীকে নাকচ করে দিলেও তারা মানবে না। কারন সাঈদী বলেছেন, আজহারী বলেছেন, আরো অনেকে বলেন। এরা জানে হাদীসে আছে নবী মোহাম্মদ হাতের ইশারায় চাঁদকে দুই খন্ডে বিভক্ত করেন, চাঁদের দুই টুকরা আবরের এক পাহাড়ের দুই অংশে পড়ে। সেই দৃশ্যের আবার সাক্ষীও ছিলেন কিছু সাহাবী! সুতরাং নীল আর্মস্ট্রং নিজে তাদের দাবী মিথ্যা বললেও তারা মানে না। এদের জ্ঞানের দৌঁড় কোন পর্যন্ত। চাঁদ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে পৃথিবী যে চূর্ণ, বিচূর্ণ হয়ে যাবে, চাঁদ কখনো একটা পাহাড়ের দুইপাশে পড়তে পারে না, চাঁদ পৃথিবীতে পড়লে সৌদি আরবের মতো কয়েকশ দেশ ঢেকে যাবে, পৃথিবীর অস্তিত্বই থাকবে না, এটা মূর্খ মুমিনদের কে বোঝাবে?

মুসলিমগণের বিশ্বাস, যখন তাদের নবী মক্কায় ছিলেন, তখন তার বিশেষ অনুরোধে আল্লাহ্‌ মোজেজা হিসেবে মক্কাবাসীদের সামনে চন্দ্র বা চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন। কোরআন এবং হাদিসগ্রন্থসমূহে এবিষয়ে পরিষ্কার বর্ণনা রয়েছে। খুব পরিষ্কারভাবে এ-ও বলা আছে যে, চাঁদ দুইভাগে ভাগ হয়ে পাহাড়ের দুইপাশে খণ্ড হিসেবে পতিত হয়েছিলো।

“কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।” (কোরান – ৫৪ঃ১)

“আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, উমার ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস, ও মিনজাব ইবনু হারিছ তামিমী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এমতাবস্থায় (হঠাৎ করে) চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।” (সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৫৩ – কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ – ৬৮১৫)

আপনাকে প্রকৃত মুসলমান হতে হলে নিঃশর্তে এই সমস্ত গাঁজাখুরি কথা মেনে নিয়ে, বিশ্বাস করে চলতে হবে। কারন এগুলো কোরানে আছে, সহীহ হাদীসে আছে, জাল/জয়িফ হাদীস বলে ত্যানা প্যাঁচানোর সুযোগ নে। সেই সময়ের আরবের লোকদের ধারনা ছিল না চাঁদ আসলে কত বড়। তাদের ধারনা হয়েছিলো চাঁদ দুই খন্ডে বিভক্ত হয়ে এক পাহাড়ের দুই দিকে পড়তে পারে – চাঁদ এতোটাই ছোট! সাঈদীকে যেমন চাঁদে দেখা গিয়েছিলো, দেওয়ানবাগীকে দেখেছিলো অনেকে, আরো অনেককে মানুষ চাঁদে দেখেছে! নবী মোহাম্মদের চাঁদ দ্বি-খন্ডন এক পাহাড়ের দুইপাশে পড়া কিছু মানুষ দেখতে পারলে এবং সেগুলো কোরান হাদীসে থাকলে সাঈদী, দেওয়ানবাগীকে কেন দেখা যাবে না? ফেবু, মডারেট মুমিনরা কি বলবেন এক্ষেত্রে?

ফান ফ্যাক্ট হলো নাসার বিজ্ঞানীরা অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে অতীতে বা কখনোই যে চাঁদ দিখন্ডিত হওয়ার প্রমান পাওয়া যায়নি বলে মানুষকে ইন্টারনেটে বা কারো মুখের কিছু বিশ্বাস না করে শুধুমাত্র পিয়ার রিভিউড জার্নালের রেফারেন্স থেকে এগুলো জানতে বললেও তারা মানবে গ্রামে শীতের রাতে মাঠ গরম করা কোন ওয়াজীর কথা, তাকে আবার সায়েন্টিফিকও বলবে।

প্রথমে উল্লেখ করা ফেবু মুমিন কুতুবকে বলেছিলাম বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বুঝতে হলে ইউটিউবের “থিংক বাংলা” চ্যানেলের ভিডিওগুলো দেখেন। মহামান্য ফেবু কুতুবের রিপ্লাই হলো –

“এগুলো কিছু মরা মানুষের কার্যকলাপ। এগুলোতে শিক্ষনীয় কিছু নেই।”

এদের সঙ্গে কথোপকথন চালানো মানে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপচয়। এরা এভাবে একের পর এক কুযুক্তি দিয়েই যাবে, নিজে কিছু পড়ে দেখবে না, জানার চেষ্টা করবে না। শেষে কিছুতেই না পেরে চাপাতি দিয়ে পিছন দিক থেকে ঘাড়ে কোপ দিতে চাইবে, এবং একসময় সুযোগ পেলে দিয়েও দিবে কোপ।

Related Posts

Sunlight and Human Body

Sunlight: A Natural Medicine, Cultural Wisdom, and the Key to Healthy Longevity

For thousands of years, many civilizations have worshipped the sun as a deity – notRead More

Sunlight and Vitamin-D

সূর্যের আলো: প্রাকৃতিক ঔষধ, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি

হাজার হাজার বছর ধরে অনেক সভ্যতা সূর্যকে দেবতা মানে; শুধু বৈদিক, পৌরাণিক, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য,Read More

Evolutionary Biology and Women

Protecting women is a man’s responsibility – this is a lesson rooted in evolutionary psychology

A common tendency across all societies is to take extra care of women. This isRead More

Comments are Closed