
Scientific Errors in the Qur'an
কোরান কি আসলেই নির্ভুল? বৈজ্ঞানিকরা কি কোরান নিয়ে গবেষণা করেন?
পাকিস্তানের এক তথাকথিত স্কলার একবার জীন দিয়ে বিদ্যূৎ উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন নাকি! মোল্লা তারিক মনোয়ার দাবী করেন আমেরিকার বড় বড় সব ব্রীজ বানিয়েছে জীন। এগুলো শুনলে প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর ক্লাস ফাইভে পড়া একটা ছেলেও হেসে কুটিকুটি হবে। বাংলাদেশের অনেকে দাবী করেন কোরান নির্ভুল, অনেক অমুসলিম পন্ডিত কোরান নিয়ে গবেষণা করেও কোন ভুল খুঁজে বের করতে পারেননি। আবার এই দাবীও প্রচলিত যে বড় বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সবই হয়েছে কোরান গবেষণা করে। কিন্তু এর সত্যতা কতটুকু? দেখুন বৈজ্ঞানিক বলে কিছু দাবী করতে হলে তার স্বপক্ষে কোন প্রতিষ্ঠিত জার্নালের রেফারেন্স দিতে হয়, এ ছাড়া সবই গাঁজাখুরি গালগল্প। আমি নিশ্চিত করে বলছি একমাত্র মুসলিম গোঁড়া ছাড়া কোন বৈজ্ঞানিক, গবেষক কোরান পড়েন না, এমনকি জীবনে একবারও পড়ে দেখেননি এমন বিজ্ঞানীর সংখ্যাই পৃথিবীতে বেশী। এতো সময় তাদের নেই, আর ধর্মগ্রন্থগুলোর সঙ্গে বিজ্ঞানের বিরোধ ঐতিহাসিক, এজন্য ধর্মগ্রস্থে বিজ্ঞান খুঁজতে যায় না কোন পন্ডিত। পৃথিবীর একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারও কোরান গবেষণা করে হয়নি। অনেক দার্শনিক, আমাদের মতো সাধারন মানুষও কোরানে অনেক ভুল খুঁজে বের করে দেখিয়েছে, কোরানে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ভুল আছে।
কোরানে এমন কি আছে যে সেটাকে ঐশি গ্রস্থ বলে মনে হয়? এমন কি বিশেষ জিনিস আছে যা কোরান আসার আগে মানুষ জানতো না? পৃথিবীর অনেক কিছুই কোরানে নেই। নবী মোহাম্মদ যা জানতেন না, যেসব গল্প, কাহিনী জানতেন না তার কিছুই কোরানে নেই। বিজ্ঞান এখনো অনেক রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি এবং পারবেও না কখনো। অনুর পরে পরমানু, পরমানুর পরে নিউক্লিয়াস/ইলেকট্রন/প্রোটন এভাবে আসতেই থাকবে। বিজ্ঞান অনেক রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি এর অর্থ এই নয় যে তা পারবে না এবং ধর্মগ্রস্থগুলো যেভাবে বলেছে তাই ঠিক।
কোরান কি বৈজ্ঞানিকভাবে শতভাগ সঠিক? আজ পর্যন্ত কেউ কি কোরানের কোনপ্রকার বৈজ্ঞানিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন? কোরান থেকে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে? কোন বিজ্ঞানী এমনটা দাবী করেছে? কোন জার্নাল কোরানকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বই হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে? তবে কোরান কিভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে গেলো? যারা কোরানকে বিজ্ঞানময় দাবী করেন তাদের ফ্যালাসিগুলো কেমন? নীচে পড়তে থাকুন।
যেকোনো ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখানোর জন্য গ্রন্থের শ্লোক গুলোকে তিনভাগে ভাগ করুন। প্রথম ভাগে বিজ্ঞানের সাথে যায় এমন কিছু শ্লোকের মূল অর্থ থেকে সরে এসে দাবী করুন “ইহা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত” – কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছে তা জানার প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয় ভাগে কোনভাবেই বিজ্ঞানের সাথে যায় না এমন শ্লোক গুলোকে “বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, বিজ্ঞান এখনো এতোটা উন্নত হয়নি যে এই শ্লোককে প্রমাণ করতে পারবে, বিজ্ঞান এখনো এই শ্লোকের অর্থ বুঝতে সক্ষম নয়, বিজ্ঞান একদিন ঠিকই এই আয়াত গুলোর সাথে সম্মতি দেবে ব্লা ব্লা” – এই ধরনের তাকিয়াবাজি করে কেটে পড়ুন। দাবী করতে পারেন “আমার ধর্মগ্রন্থের ৮০% প্রমাণিত বাকি ২০% এখনো অস্পষ্ট” – তথ্যটি কোন জার্নাল থেকে প্রকাশিত হয়েছে তা-ও কাউকে বলতে হবে না।
সর্বশেষ যেসকল শ্লোকে রুপকথার গল্প, জ্বীন-ভূত বা হাবিজাবি কিসব লেখা আছে যার কোন অর্থই নেই; এমন সব শ্লোকের ক্ষেত্রে “এটা অলৌকিক। অলৌকিক কোন কিছুকে বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করা মূর্খতার বহিঃপ্রকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি” – এমন কিছু একটা বলে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যান। বিজ্ঞান আসলে ‘অলৌকিক’ বলতে কোন কিছুকে স্বীকৃত দেয় কিনা সেটা পরে দেখা যাবে। আপাতত আপনার ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখানোর অপচেষ্টা।
এরপর যদি কেউ বিজ্ঞানের ভুল ধরে তখব বলবেন কোরানের জ্ঞান না থাকলে সে যত বড় শিক্ষিতই হোক সে আসলে মূর্খ। অতঃপর যখন কেউ আপনার ধর্মগ্রন্থ থেকে সুস্পষ্ট কোন ভুল ধরিয়ে দেবে তখন তাকে প্রশ্ন করতে পারেন ‘এটা কোন বিজ্ঞানী ভুল প্রমাণে করেছে’ 🥱🥱
ধর্মগ্রস্থগুলো নিয়ে এতো ভাবার দরকার ছিলো না যেমনটা এখন উন্নত দেশগুলোর লোকেরা ভাবে না। আমাদের প্রকৃত যুদ্ধ হচ্ছে দারিদ্রের বিরুদ্ধে, ক্ষুধার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও অপরাজনীতি ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে ধার্মিকদের চিন্তা নাই। কোরান সত্য এটা নিয়ে পড়ে আছে কিছু লোক, এটা নিয়ে তারা মানুষ মারতে, যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। কোরানকে তারা ব্যক্তিগত জীবনে রাখলে সমস্যা ছিলো না, কিন্তু এটা দিয়ে তারা দেশ, রাজনীতি, বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করতে চায়, না পারার ব্যর্থতায় অশান্তি তৈরি করে।
এই নেন কোরানের ২০ টি বৈজ্ঞানিক ভুল উল্লেখ করলামঃ
(এই ভুলগুলো বুঝতে হলে অবশ্য আপনাকে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বুঝতে হবে।)
১। সূর্য কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্ত যায় [১৮ঃ ৮৬]
২। এই পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব ৬ দিনে সৃষ্টি [৭:৫৪]
৩। পৃথিবী আগে সৃষ্টি তারপর আকাশ [২ঃ২৯]
৪। পৃথিবী আর আকাশমণ্ডলী একসাথে মিশে ছিল [২১:৩০]
৫। সাতটি আকাশ এবং সাতটি পৃথিবী [৬৫:১২]
৬। আকাশের দরজা [25:2]
৭। নিকটবর্তী আসমান তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত [37:6]
৮। চন্ত্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল [54:1]
৯। উল্কাপিন্ড শয়তান বিতাড়নের অস্ত্র [37:7,37:8]
১০। পৃথিবীকে বিছানা ও আকাশকে করেছেন ছাদ [2:22]
১১। আল্লাহই স্তম্ভ ছাড়াই আকাশমন্ডলীকে ঊর্ধ্বে তুলে রেখেছেন [13:2]
১২। কোরানের বিবর্তন তত্ত্ব – আমি কাল শুষ্ক ঠনঠনে মাটির গাড়া থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছি। [15:26]
১৩। আল্লাহর নিকট ঈসার অবস্থা আদামের অবস্থার মত, মাটি দ্বারা তাকে গঠন করে তাকে হুকুম করলেন, হয়ে যাও, ফলে সে হয়ে গেল। [3:59]
১৪। তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন আর তাত্থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। [7:189]
১৫। এম্ব্রিওলজিঃঅতঃপর মানুষ চিন্তা করে দেখুক কোন জিনিস থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে বের হয়ে আসা পানি থেকে। যা বের হয় শিরদাঁড়া ও পাঁজরের মাঝখান থেকে। [86:5-7]
১৬। পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড হতে। [96:2]
১৭। পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট বাঁধা রক্তে, অতঃপর মাংসপিন্ডকে পরিণত করি হাড্ডিতে, অতঃপর হাড্ডিকে আবৃত করি মাংস দিয়ে, অতঃপর তাকে এক নতুন সৃষ্টিতে উন্নীত করি। কাজেই সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতই না মহান! [23:14]
১৮। গবাদিপশুর পেটে থাকে দুধ [16:66]
১৯। আর আমি তাদের অন্তরের উপর [ হৃদয়ে] এক আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা কোরান বুঝতে না পারে । [17:46]
২০। লক্ষ্য কর, এরা নিজেদের বুক ঘুরিয়ে নেয় যাতে তারা তাঁর (অর্থাৎ আল্লাহর) থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে। [১১ঃ৫]
আরো কতো গাণিতিক, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ভুল আছে কোরানে। এই প্রবন্ধের লিংকটা দিলাম, পড়ে দেখবেন। শুধু কি বৈজ্ঞানিক ভুল, তথ্যগত অনেক ভুলও আছে।
কোরান বলে খ্রিষ্টান ট্রিনিটি মানে পিতা, পুত্র ও মা মরিয়ম কিন্তু খ্রিষ্টানরা বলে ট্রিনিটি মানে পিতা, পুত্র ও হলি স্পিরিট বা আত্মা। এখানে বিজ্ঞান নেই কিন্তু অন্য ধর্মীয় জ্ঞান দিয়েও কোরানকে নির্ভুল প্রমান করা ঠিক না।
কোরান বলে জীনের অস্তিত্বের কথা কিন্তু বিজ্ঞান বলে জীন, ভূত, প্রেত এসব কিছুই নেই। রাতে হয়তো বাদুড় গাছ নাড়া দিচ্ছে। সেটাকেই জীন, ভূত বলে বিশ্বাস করে রেখেছে ধর্মান্ধ বাংলাদেশী অজপাড়া গাঁয়ের লোকজন।
কোরান বলছে যীশুর মা মরিয়মের বাবা নাকি ইমরান অথচ উনার বাবার নাম হচ্ছে জসিম। এই ভুলের কারন হচ্ছে মেরিয়াম নামের এক বোন ছিলো নবী মূসা ও নবী হারুনের, যাদের বাবার নাম ছিলো ইমরান। মেরিয়াম ও মরিয়ম দুইজনেই দুই যুগে জন্মেছিলেন। যীশুর মা মরিয়মকে যদি সম্মান করেও ইমরানের কন্যা বলা হয় তবুও সেটা ঠিক না। যীশুর নানী মানে মরিয়মের মাকে এক জায়গায় ইমরানের স্ত্রী বলা হয়েছে। ইমরানের স্ত্রী কেনো বলা হবে? তিনি তো জসীমের স্ত্রী। ইমরান কি এমন অসাধারন এক ব্যাক্তি যে তার নামের সাথে স্ত্রী, কন্যা এসব জুড়ে দিয়ে কাউকে ডাকলে তার সম্মান বেড়ে যাবে? মূসার সাথে মরিয়মের বংশের কোনো ধরনের ধারাবাহিকতা বা যোগসূত্র নেই। তাহলে কেনো মরিয়মকে মেরিয়াম মনে করা হলো?
এসব আসলে নবী মুহাম্মদ যখন সিরিয়ায় যান তখন বাইবেলে ইমরান, মূসা, হারুন এসব কাহিনী শুনে কোরানের আয়াত কাউকে দিয়ে লিখাতে গেলে মরিয়মকে মেরিয়াম ভেবে নিয়েছিলেন তিনি। তাই কোরানে এই আয়াত আছে।
কোরানে আরো বলা হয়েছে, ইহুদীরা নাকি উযায়েরকে আল্লাহর পুত্র বলে ডাকে। কোনো কালেই ইহুদীরা কাউকেই ইয়াহওয়ে বা যেহোভার পুত্র বলতো না তবে তারা সবাইকেই এক সাথে বলতো যেহোভা বা ইয়াহওয়ের সন্তান। এটা সম্মান করে বলতো। Children of God বলতে তারা সব মানুষকে বুঝাতো। একজনকে আল্লাহর পুত্র বা কন্যা বলতো না নির্দিষ্ট করে যা খ্রিষ্টানরা বলে। তাহলে উযায়ের কবে আল্লাহর বায়োলোজিকাল পুত্র হলো? ইহুদীদের এই কথা বললে তারা হাসবে ও অবাক হবে। তাদের ইতিহাসে এমন কোন গ্রুপকে খুজে পাওয়া যায় নি যারা উযায়েরকে ঈশ্বর পুত্র বলতো খ্রিষ্টানেরা যীশুকে নিয়ে যা বলে সেরকম। এসব তারা কখনো বিশ্বাস করে না। একমাত্র কোরানেই এই দাবী করা হয়েছে যে ইহুদীরা নাকি উযায়েরকে আল্লাহর পুত্র বলে ডাকে।
থাক এবার ক্ষ্যান্ত দেই।
Related Posts

What are the main obstacles to Bangladesh’s development?
Bangladesh is a promising country in South Asia, with significant growth in economic progress, humanRead More

বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান সমস্যাগুলো কী কী?
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ, যার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি এবং বৈশ্বিকRead More

What was the number of martyrs in the 1971 Liberation War?
The claim of 3 million martyrs is entirely unrealistic – there’s no logical basis toRead More
Comments are Closed