Science
Inertia and the Life

Inertia and the Life

আসুন কিছু বিজ্ঞানের পাঠ নেই; স্থির ও গতিজড়তা মহাবিশ্বের অন্যতম চালিকাশক্তি

আসুন কিছু বিজ্ঞানের পাঠ নেই।

ইনার্শিয়া বা জড়তা (স্থির ও গতি জড়তা) পদার্থবিজ্ঞানের এমন এক টার্ম যা না থাকলে আমাদের কোন অস্তিত্ব থাকতো না। পৃথিবীতে পানি থাকতো না, বাতাস থাকতো না, প্রানের উদ্ভব হতো না, সেই ক্ষুদ্র এককোষী আনুবিক্ষনীক জীব থেকে পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন প্রানের উদ্ভবও হতো না। আমাদের পৃথিবী নিজের অক্ষে ও সূর্যের চারিদিকে প্রতিনিয়ত ঘুরছে, অথচ আমরা বুঝতে পারি না, এর কারনও ঐ ইনার্শিয়া, গতি জড়তা। এই গতি জড়তার কারনেই আপনি চলন্ত বাস হঠাৎ থামলে সামনে ঝুঁকে পড়েন, আবার স্থির জড়তার কারনে বাস থামা অবস্থা থেকে হঠাৎ চলা শুরু করলে আপনি পিছনে হেলে পড়েন।

পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন বলের কারনে সবকিছু পৃথিবীর সঙ্গে লেগে থাকে, পৃথিবীর দিকে আসে। পৃথিবী ঘূর্নয়মান হলেও আমরা ছিটকে পড়িনা মহাশূণ্যে। তবে এমন কিছু অনু বা পদার্থ পৃথিবীতে আছে যা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। সেগুলো পৃথিবী থেকে বেরিয়ে যেতে চায় ও সুযোগ পেলে যায়। যেমন হাইড্রোজেন, হিলিয়াম। এরা কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন বলকে কেয়ার না করে মহাশূণ্যে মিশে যায়। এভাবে পৃথিবী প্রতিবছর প্রায় ৯৫০০০ টন হাইড্রোজেন হারাচ্ছে, হিলিয়াম হারাচ্ছে ১৬০০ টন। দুঃশ্চিন্তার কারন নেই, পৃথিবীতে প্রচুর হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম আছে। এই ৯৬৬০০ টন কমলে কিছুই যায় আসে না। অন্যদিকে মহাবিশ্বের ডাস্ট বা ধূমকেতু, গ্রহানু, উল্কার ছাই, ধূলিকনা পৃথিবীতে মিশছে প্রতিবছর। সে পরিমান প্রায় ৪৫০০০ টন।

এইজন্য ধারনা করা হয় চাঁদ, মঙ্গল এসব উপগ্রহ-গ্রহে একসময় বায়ুমন্ডল ছিল কিন্তু তাদের মধ্যাকর্ষ বল সেগুলো ধরে রাখতে পারেনি বিধায় সব ক্রমে মহাশূন্যে হারিয়ে গেছে। এখন চাঁদ বায়ুশূণ্য, এজন্য চাঁদে কোন শব্দ শোনা যায় না, নীল আর্মস্ট্রংও কিছুই শোনেননি ! আপনি বলতে পারেন এই শুনেছে, ঐ শুনেছে, অমুকে বলেছে। কিন্তু এটা অবাস্তব, অসম্ভব। নীল আর্মস্ট্রং নিজে বলেছেন কিছু শোনেননি।

একটা এক্সপেরিমেন্টের কথা বলি। কখনো করে দেখতে পারেন। ধরুন ২ টি বেলুন। একটাতে অক্সিজেন বা পিওর বাতাস, অন্যটিতে হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম। দুইটাই একটা ট্রাকে রাখলেন। ট্রাকটা হঠাৎ থামা অবস্থা থেকে চলা শুরু করলো, আপনি ও অক্সিজেন ভর্তি বেলুন পিছনে চলে যাবেন বা হেলে পড়বেন। হিলিয়াম ভর্তি বেলুন ট্রাকের সঙ্গেই সামনে এগিয়ে যাবে। তেমনি চলন্ত ট্রাক হঠাৎ থামলে আপনি ও অক্সিজেন/বাতাসভর্তি বেলুন সামনে এগিয়ে যাবেন বা ঝুঁকে পড়বেন কিন্তু হিলিয়াম/হাইড্রোজেন ভর্তি বেলুন পিছনে চলে আসবে। অদ্ভুত, তাই না ? কেন হবে ? কারন অক্সিজেন বা বাতাস সাধারনত ভারী অনু দিয়ে গঠিত। হিলিয়াম হাল্কা। যখন হঠাৎ ট্রাক চলা অবস্থা থেকে থেমে যায় তখন বাতাস সামনে গিয়ে থেমে যায়, সেখানে বাতাসের ঘনত্ব বেড়ে যাবে। হালকা জিনিস সবসময় ঘনত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, তাইনা ? হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন কে মানে না, তারা কেন পৃথিবীর ইনার্শিয়াকে পুরোপুরি মেনে চলবে ?

নিউটনের ৩ টি প্রাথমিক সূত্র ছাড়া মহাবিশ্ব কল্পনা করা অসম্ভব !

[Pic: Wikipedia, CC by 4.0 ]

Related Posts

Sunlight and Human Body

Sunlight: A Natural Medicine, Cultural Wisdom, and the Key to Healthy Longevity

For thousands of years, many civilizations have worshipped the sun as a deity – notRead More

Sunlight and Vitamin-D

সূর্যের আলো: প্রাকৃতিক ঔষধ, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি

হাজার হাজার বছর ধরে অনেক সভ্যতা সূর্যকে দেবতা মানে; শুধু বৈদিক, পৌরাণিক, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য,Read More

Evolutionary Biology and Women

Protecting women is a man’s responsibility – this is a lesson rooted in evolutionary psychology

A common tendency across all societies is to take extra care of women. This isRead More

Comments are Closed