
Freedom of Dress
মানুষের পোশাক দিয়ে ইজ্জত বোঝা যায় না, ইজ্জত মাপা যায় কর্ম ও মানবিক গুণ দিয়ে
মানুষের পোশাক দিয়ে ইজ্জতের মান বোঝা যায় না ভাই। ইজ্জত মানুষ অর্জন করে তার কাজ ও মানবিক গুণ দিয়ে। এই ছবিটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবিগুলোর একটা। কিন্তু একজন শিশুকামী পেডোফাইল এই ছবি দেখে কামনা অনুভব করবে। একজন বিকৃতমনা ব্যক্তি সন্তানকে মায়ের দুধ খাওয়ানো দেখে পুলকিত হবে। কে কিভাবে কি পোশাকে তার সন্তানকে খাওয়াবে সেটা তার ব্যক্তিগত সুবিধা ও অধিকারের বিষয়। আমি তো অন্যকে বলে দিতে পারি না। তবে আমি এটা জানি মানুষের ইজ্জত যায় নিম্নের যে কোন একটা করলে। এমনকি যারা প্রতিবাদ করে না তাদেরও ইজ্জত যায়।
- এক মা তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে, তার স্তনের একটু অংশ দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ সেটা লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছে। ঐ মানুষগুলো ইজ্জহীন।
- এক সরকারী কর্মচারী তার নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছে। এখানে সরকারী কর্মচারীর ইজ্জত বলে কিছু নেই।
- অন্য কোন কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা টাকার বিনিময়ে বা অন্য কোন সুবিধা নিয়ে অন্যদের বঞ্চিত করে তার কাছের কাউকে কোন কিছু পাইয়ে দিচ্ছে। তার ইজ্জত কোথায় ?
- মানুষের খাদ্যে, শিশুখাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। যারা এই কাজ করছে তারা আবার প্রার্থনার সময় একেবারে সামনের সারিতেই থাকে সাধারনত। অন্যরা কি তাদের ইজ্জত নিয়ে প্রশ্ন করে ?
- ট্যাক্স অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কেরানী। অঢেল সম্পদ করেছে চাকুরিতে থাকা কালীন, বড় ব্যবসা তার এখন। এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দেয় হাজার হাজার। সেই চাঁদার টাকা নেয়ার সময় কেউ ইজ্জতহানী অনুভব করে না। পাশের জেলার তালুকদার সাহেব তার ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তালুকদার সাহেব উনাকে ইজ্জতদার ভাবেন !
- এলাকার কানকাটা জব্বার ২ বছর আগেও ছিল সিনেমার টিকিট ব্ল্যাকার, এখন তার ২/৪ টা ৫ তলা বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি। সবাই তাকে এখন সমীহ করে চলে, তার ইজ্জত নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস কারো নেই।
- ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার নামে ধর্ষণ করাকে ঢেকে রাখলে ইজ্জতের মান বাড়ে। সেগুলো প্রকাশ পেলে কেউ ইজ্জতের প্রশ্নে প্রতিবাদ করে না।
– —– এভাবে লিস্ট করলে শত শত পাওয়া যাবে যেগুলো আসল ইজ্জতের ক্ষতি, মূল্যবান ইজ্জতের স্থায়ী ক্ষতি। সমাজের এই সমস্ত ইজ্জতহানি নিয়ে কেউ কথা বলে না। নারীর ইজ্জত নিয়ে সবার মাথাব্যাথা !
এক আপু আমাকে নীচের এই ম্যাসেজ দিয়েছেন গতকাল। সমাজের ফালতু কিছু দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এমন অনেক মা ও শিশু সাফার করে।
স্যার এভাবেই চালিয়ে যান। আমি একজন মা আমার তিনমাস বয়সী একটা বাচ্চা আছে। রাস্তায় বের হলে মাঝেমধ্যে কি যে সমস্যা হয়। বাচ্চার কান্না থামানো যায় না। তারপর থেকে এখন আর বের হওয়া হয়না।
Related Posts

Are religion, country, race, patriotism, and nationalism all racist concepts?
The only uncontacted human tribe left in the world today are the Sentinelese of NorthRead More

ধর্ম, দেশ, জাতি, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ সবই কি বর্ণবাদী কনসেপ্ট?
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত একমাত্র আন কন্টাক্টেড মনুষ্য প্রজাতি আমাদের বঙ্গোপসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের সেন্টিনেলীরা। তারাRead More

Durga or Mahishasura – who is the true hero of the mythological legend?
Bhagura (Indian extremist goat – Indian Shit) have, in 2025, created a Mahishasura effigy inRead More
Comments are Closed